শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সিআরবি রক্ষাঃমুখ পোঁড়া যাবে চট্টগ্রামের আওয়ামীলীগ নেতাদের?

সিআরবি অবরুদ্ধ করার ষড়যন্ত্র চট্টগ্রামবাসী মেনে নেবে না

সিআরবি অবরুদ্ধ করার ষড়যন্ত্র চট্টগ্রামবাসী মেনে নেবে না

শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

 

 

৩২৯ বার পড়া হয়েছে

আশরাফ আহমেদঃ
সিআরবি,প্রাণের স্পন্দন,চট্টগ্রামের ফুসফুস,নগরীর অক্সিজেন সাপ্লাই।কত নামেই না এর বিশেষণ।গত কয়েক মাস ধরে নিজেই যেন দম বন্ধ হয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় পড়েছিল।অবশেষে যেন এক চিলতে হাওয়ার স্ফুরণ ঘটেছে সিআরবির। প্রাণের সঞার হয়েছে তার।শুক্রবার রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের বক্তব্যের পর এতে যেন গতি পেয়েছে। কিছুটা স্বস্তির আভা আন্দোলন রত সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের চোখে মুখে।

রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, চট্টগ্রামের মানুষ না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবেনা। তার কথা যদি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কথার প্রতিধ্বনি হয় ,বাস্তবে প্রতিফলন ঘটে তাহলে জয় হবে চট্টগ্রামবাসীর।জয় হবে সেসব মানুষের যারা বিগত দিনে টানা কর্মসূচী নিয়ে সোচ্চার রয়েছেন।

তবে মুখ পুঁড়বে স্থানীয় আওয়ামীগের শীর্ষনেতাদের। দুএকজন ছাড়া অন্য নেতারা সিআরবি আন্দোলন নিয়ে চট্টগ্রামের জনগনের প্রাণের দাবীকে পাশ কাটিয়ে কৌশলী ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।একজন শীর্ষ নেতা ও দক্ষিন চট্টগ্রামের এক সাংসদ তো সিআরবি আন্দোলন কারীদের বিরুদ্ধে রীতিমত হুংকার ছেড়েছেন।আন্দোলন কারিদের তুলোধুনো করেছেন।সাবেক এক মেয়র পুএ এটিকে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার কথা বলে দুকূল রক্ষা করে হেটেছেন। নগর আওয়ামীলীগের আরেক শীর্ষ নেতা সাবেক মেয়র তো রীতিমত শুরু থেকেই নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করেছেন। সিআরবি ইস্যুতে তিনি টু শব্দটিও করেননি।আরেক প্রধান দল বিএনপি নেতাদের কথা তো বলাই বাহুল্য।
আন্দোলনকারীদের মতে ,আসলে এসব নেতারা চাঁটগাবাসীর পালস বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন।তারা নিজের দলীয় পদ আর চেয়ারকেই বড় করে দেখেছেন।জনগনের প্রাণের দাবীতে একাত্ম হতে পারেননি।

সময়ে সময়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের জন্য অগ্নিপরীক্ষা আসে।নেতাদের পরীক্ষা দিতে হয়। সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী,মহিউদ্দিন চৌধুরীরা।হয়তো ইতিহাস তাই এসব নেতাদের ধারন করে। কিন্তু তাদের উত্তরসূরীরা এবার সিআরবি ইস্যুতে ব্যর্থ হয়েছেন।

ট্যাগ :

আরো পড়ুন