শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

রাবেয়া-রোকেয়ার অন্যরকম ঘরে ফেরা

রাবেয়া-রোকেয়ার ঘরে ফেরা

রাবেয়া-রোকেয়ার ঘরে ফেরা

রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১

 

 

২৬১ বার পড়া হয়েছে

প্রিয় পাঠকঃসফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করা মাথা জোড়া লাগানো যমজ শিশু রাবেয়া-রোকেয়া সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে ঘরে ফিরেছে আজ।
শিশু রাবেয়া ও রোকেয়ার সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাবেয়া-রোকেয়ার সুস্থতা ও ঘরে ফেরা মুজিব শতবর্ষে বড় পাওয়া।’ সিএমএইচসহ দেশের যে কোনও সরকারি হাসপাতালে আজীবন বিনামূল্য তাদের চিকিৎসার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সুস্থ হওয়ার পথে আড়াই বছরের দীর্ঘ যাত্রা। কয়েক দফা চিকিৎসকের ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হয়েছে। অবশেষে মাথায় জোড়া লাগা যমজ বোন রোকেয়া থেকে শারীরিকভাবে আলাদা হয়েছে রাবেয়া। পুরোপুরি সুস্থও আছে সে। চিকিৎসার একটি পর্বে বেশকিছুদিন হাঙ্গেরীতে থাকায় সেখানকার ভাষায় গানও শিখেছে রাবেয়া। তবে, আলাদা হওয়ার পর থেকে এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি রোকেয়া। স্নায়ুজনিত জটিলতা থাকায় তাকে নিয়মিত থেরাপীর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
সামরিক চিকিৎসা মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শুধু সিএমএইচ না দেশের যেকোনো সামরিক-বেসামরিক চিকিৎসক দল রাবেয়া-রোকেয়ার স্বাস্থ্যগত বিষয়ে দায়িত্ব পালন করব।’
রাবেয়া রোকেয়ার ঘরে ফেরা উপলক্ষ্যে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আয়োজন করা হয় ‘মুজিবশতবর্ষে রাবেয়া-রোকেয়ার শুভ গৃহ প্রত্যাবর্তন’। ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে রাবেয়া-রোকেয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী।
রোকেয়ার জন্য কিছুটা কষ্ট হলেও দুই মেয়েকে শারিরীকভাবে আলাদা করে ঘরে ফেরার দিনটি বড়ই আনন্দের রফিকুল-তাছলিমা দম্পতির জন্যে।
২০১৬ সালের ১৬ জুলাই পাবনা জেলার চাটমোহরে মাথা জোড়া লাগা অবস্থায় জন্ম নেয় যমজ শিশু রাবেয়া-রোকেয়া। সেভাবেই বেড়ে উঠতে থাকে তারা। বিষয়টি নজরে আসলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু দু’টির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। এরপর ২০১৯ সালের ১লা আগস্ট সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বাংলাদেশ এবং হাঙ্গেরীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ৩৩ ঘন্টার সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করেন রাবেয়া রোকেয়াকে।

ট্যাগ :

আরো পড়ুন