প্রিয় পাঠকঃযে প্রক্রিয়ায় মরদেহ থেকে জৈব সার তৈরি হবে তাকে বলা হচ্ছে প্রাকৃতিক জৈবপদ্ধতি। এর মাধ্যমে আবদ্ধ অবস্থায় কোনো পাত্রে রাখলে কয়েক সপ্তাহ পর পচে যায় মরদেহ।মৃত মানুষের দেহ থেকে জৈব সার তৈরির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক কর্তৃপক্ষ।
মানুষের মরদেহ কবর দেয়া বা পুড়িয়ে দেয়ার পরিবর্তে এ প্রক্রিয়াটিকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যে প্রক্রিয়ায় মরদেহ থেকে জৈব সার তৈরি হবে তাকে বলা হচ্ছে প্রাকৃতিক জৈবপদ্ধতি। এর মাধ্যমে আবদ্ধ অবস্থায় কোনো পাত্রে রাখলে কয়েক সপ্তাহ পর পচে যায় মরদেহ।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন প্রথম ২০১৯ সালে মরদেহের জৈব সার বানানোর এ পদ্ধতির অনুমোদন দেয়। পরে কলোরাডো, ওরেগন, ভার্মন্ট ও ক্যালিফোর্নিয়ায় চালু হয় এই প্রক্রিয়া।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ প্রক্রিয়াটি বেশ পরিবেশবান্ধব। এতে কাঠের গুঁড়া, বিশেষ লতা এবং খড়-ঘাসের মতো নির্বাচিত উপকরণ দিয়ে মরদেহ রেখে দেয়া হয় একটি বন্ধ পাত্রে। এরপর দেহ জীবাণুর প্রভাবে ধীরে ধীরে ভেঙে মাটিতে মিশে যায়।
প্রায় এক মাস পর তাপ প্রয়োগ করা হয় প্রক্রিয়াজাত করা মরদেহে। পরে ব্যবহার করা যায় মাটিতে। মানবদেহ থেকে তৈরি এই জৈব সার মূলত শাকসবজি বা গাছ লাগাতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান বলছে, শ্মশানে পুড়িয়ে বা মাটিতে কবর দেয়ার তুলনায় এ প্রক্রিয়ায় মরদেহ থেকে সার বানালে উল্লেখযোগ্য কার্বন সংরক্ষণ করা সম্ভব।
অবশ্য এর বিরোধিতাও করছেন অনেকে। মানুষের মরদেহ থেকে জৈব সার তৈরির পক্ষে নন তারা।