শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

মুখ খুললেন সৌম্য

মুখ খুললেন সৌম্য

মুখ খুললেন সৌম্য

বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩

 

 

৬১ বার পড়া হয়েছে

প্রিয় পাঠকঃসৌম্য সরকার কেন জাতীয় দলে- দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে এটা নতুন কোনো প্রশ্ন না। লঙ্কান মাইন্ড-মাস্টার চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ফেভারিট তকমা নিয়েই বারবার জাতীয় দলে সুযোগ মিলছে তার, এটা অনেকাংশেই ওপেন সিক্রেট। তবে হাথুরুর কাছে বিষয়টি জানানো হলে যথার্থ উত্তর দেননি তিনি।বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রেকর্ডময় এক ইনিংস শেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান।

১৫১ বল খেলে ১৬৯ রানের রেকর্ডময় ইনিংস খেলেন সৌম্য। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এশিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসে কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের ১৬৩ রানের রেকর্ড ভাঙেন সৌম্য। তার ইনিংসটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছিল। ইনিংসের শুরুর দিকে বেশ নড়বড়ে ছিলেন তিনি। হাফ-সেঞ্চুরির পর তিনবার জীবন পান বাঁ-হাতি এই ব্যাটার।

এর আগে, সবশেষ ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন সৌম্য। এরপর ২০১৯ সালে শেষবারের মতো ব্যক্তিগত ৫০ রানের দেখা পেয়েছিলেন এই ওপেনার। এবার প্রায় ৫ বছর পর তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে নেলসন রাঙালেন টাইগার এই ক্রিকেটার।

এমন ইনিংসের পর সৌম্যর কাছে জানতে চাওয়া হয়, পুরোনো সৌম্য আবারও ফিরেছেন কি না। পাশাপাশি কোচ হাথুরুর প্রসঙ্গেও জানতে চাওয়া হয়। জবাবে এই ওপেনারের ভাষ্য, সৌম্য সৌম্যই ছিলাম। হয়তো সে (হাথুরু) আমাকে ভালো বুঝে, এজন্য ছোট একটা জিনিস বলেছে, যা আমার জন্য ক্লিক করেছে। আমরা কীভাবে দেখি, সেটা বড় বিষয়। একটা মানুষ হেঁটে গেলেও তার মধ্যে অনেক নেগেটিভিটি পাবেন। আপনি যদি কেবল নেগেটিভিটি দেখতে চান, নেগেটিভিটিই দেখবেন। পজিটিভ চিন্তা করলে, পজিটিভ জিনিস পাবেন। হয়তো উনি পজিটিভ জিনিসটাই চিন্তা করে।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, আমি তো খেলোয়াড়, আমাকে খেলতেই হবে। ভালো খেললে হয়তো ভালোটা নিয়ে লিখবেন, খারাপ করলে খারাপ লিখবেন। এটা আপনাদের কাজ, আমার কাজ খেলা। এগুলো নিয়ে ভাবা হয়নি। ভাবলে হয়তো নিজের ওপর চাপ আসত। আমি কেবল নিজের খেলার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম, আমার যে প্রক্রিয়া ছিল সেই প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা ছিল।

সৌম্য যোগ করেন, একটা সময় হয়তোবা (সমালোচনার খবর) দেখতাম। কিন্তু সত্যি বলতে, প্রায় এক বছর আমার ফোনে এ ধরনের কোনো সংবাদ আসেনি। আমার ফেসবুক বন্ধু বা অন্যরা ক্রিকেট নিয়ে কোনো কথা বললে আমি তার সঙ্গে থাকি না। যে ইতিবাচক কথা বলে, আমি তার সঙ্গেই থাকি এবং ইতিবাচক দিকগুলো নিয়েই ভাবি। ভালো-খারাপ দুটোই থাকবে। কিন্তু খারাপ করলে তো ক্রিকেট ছেড়ে চলে যেতে পারব না। ক্রিকেটের জন্যই এত দূর আসতে পেরেছি, ক্রিকেটের জন্যই এত পরিশ্রম করছি।

ট্যাগ :

আরো পড়ুন