প্রিয় পাঠকঃচাঞল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় অনেক দূর এগিয়ে এখনও কিনারায় পৌছাতে পারেনি মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই )। মামলার প্রধান আসামি মিতুর স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে পাঁচদিনের রিমান্ডে এনেও তার কাছ থেকে স্বীকারেক্তি মূলক জবানবন্দী আদায় করতে পারেনি।চৌকষ এই সাবেক পুশিল কর্মকর্তা রিমান্ডে তদন্তকারীদের ঠান্ডা মাথায় সামলেছেন।পিবিআই আশা করেছিল রিমান্ড শেষে বাবুল আক্তার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিবেন। তাতেই এই মামলার গতি প্রকৃতি সহজ হয়ে যাবে।হত্যার মোটিভ স্পশ্ট না হওয়ায় তাই এখন ভিন্ন পথে এগুনোর চিন্তাভাবনা করছে পিবিআই।
রিমান্ডে নিয়ে পাঁচদিন বাবুল আকতারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। এরপর, সোমবার আদালতে হাজির করার পর তাদের আশা ছিলো, স্ত্রী হত্যায় দায় স্বীকার করবেন সাবেক এই পুলিশ সুপার। কিন্তু, চারঘণ্টা অপেক্ষা করেও তা হয়নি।
পিবিআইয়ের দাবি, সবকিছুই গুছিয়ে এনেছেন তারা। মিতু হত্যার পুর্বাপর প্রায় সব তথ্যই মিলেছে তদন্তে। রিমান্ডে অনেককিছু চেপে গেলেও কিলিংস্কোয়াডের প্রধান মুসার সাথে পরিচয়সহ কিছু তথ্য স্বীকার করেছেন বাবুল। কিন্তু, শুধুই কী পরকীয়া সম্পর্কের জেরে স্ত্রীকে হত্যা করিয়েছেন তিনি? বারবারই এড়িয়ে গেছেন এই প্রশ্ন।
একসময়ের চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল। ঠান্ডা মাথায় সামলেছেন বহু চাঞ্চল্যকর মামলা। অপরাধীর কাছ থেকে বের এনেছেন গোপন তথ্য। তাই জানেন, নিজেকে আড়ালে রাখার কৌশলও। ফলে, জিজ্ঞাসাবাদে কখনো কখনো বিষন্ন হলেও; বেশিরভাগ সময়ই ছিলেন নিরুত্তর।
এখন পিবিআইয়ের ভরসা, মুসা আর গায়েত্রী সিং। তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট নানাজনকে আনা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায়। জানার চেষ্টা চলছে, বাবুলের সাথে তাদের যোগাযোগ।বাবুল- মিতুর ছেলে মাহিরকেও জিজ্ঞাসাবাদের চিন্তাভাবনা রয়েছে।
গ্রেপ্তার থাকা অন্য আসামীদেরও রিমান্ডে আনা হতে পারে বলে জানিয়েছে পিবিআই।