শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

ভারতের মণিপুরে কী ঘটছে?

ভারতের মণিপুরে কী ঘটছে?

ভারতের মণিপুরে কী ঘটছে?

শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩

 

 

১৬৪ বার পড়া হয়েছে

প্রিয় পাঠকঃ ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে জনসম্মুখে দুই নারীকে যৌন নিপীড়নের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক বিক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় শুরু হয়েছে। পুলিশ অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে অন্তত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আরও অন্তত ৩০ জনকে খুঁজছে। রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থানীয় হিন্দু মেইতি ও খ্রিষ্টান কুকি সম্প্রদায়ের জাতিগত সংঘাতের সময় জঘন্য ওই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।

• কী ঘটেছিল মণিপুরে?
গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মণিপুরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, কুকি-জো জনগোষ্ঠীর দুই নারীকে নগ্ন অবস্থায় রাস্তায় ঘোরানো হচ্ছে। মেইতি সম্প্রদায়ের শত শত সদস্য ওই দুই নারীকে বার বার যৌন হয়রানি ও হেনস্তা করছে।

গত ৩ মে মণিপুরে জাতিগত সহিংসতার পর রাজ্যে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। যে কারণে ভিডিওটি ধারণের দুই মাসের বেশি সময় পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা প্রকাশিত হয়।

চাকরিতে কোটা এবং জমির অধিকার নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি ও সংখ্যালঘু কুকি-জো সম্প্রদায়ের মাঝে সেই সময় সহিংসতা শুরু হয়। এরপর থেকে রাজ্যজুড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে।

মণিপুরের নারীরা প্রধান সন্দেহভাজনের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন
• সহিংসতার শুরু কীভাবে?
মেইতি সম্প্রদায়ের চাকরি ও কলেজে ভর্তির কোটার দাবির প্রতি আদালতের ইতিবাচক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে কুকি-জো সম্প্রদায়। দীর্ঘদিন ধরে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, মেইতি সম্প্রদায় বর্তমানে উপজাতি গোষ্ঠীগুলোর জন্য সংরক্ষিত এলাকায় জমি কেনার অনুমতি পাবে। কুকি-জো সম্প্রদায় আদালতের এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ।

গত মে মাসে মণিপুরের মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের মাঝে জাতিগত দাঙ্গা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩০ জনের প্রাণহানি এবং ৬০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ৩২ লাখ বাসিন্দার এই রাজ্যে বিশৃঙ্খলার শুরু হয়েছিল মে মাসের প্রথম দিকে।

রাজ্যের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে কুকি গ্রামবাসীদের উচ্ছেদ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। এর ফলে সেখানে দফায় দফায় আন্দোলন হয়। মণিপুর রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় ৬৪ শতাংশ মেইতি সম্প্রদায়ের। তারপরও ওই রাজ্যের মোট ভূখণ্ডের মাত্র ১০ শতাংশের মালিকানা এই সম্প্রদায়ের সদস্যদের হাতে রয়েছে। ভারতের এই রাজ্যে তফসিলি উপজাতিদের বাইরে পাহাড়ী এলাকায় অন্য কারও জমি কেনার অনুমতি নেই।

ট্যাগ :

আরো পড়ুন