শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বুস্টার ডোজঃ ভালো কাজের প্রশংসা বারে বারে করতে চাই

বুস্টার ডোজঃ ভালো কাজের প্রশংসা বারে বারে করতে চাই

বুস্টার ডোজঃ ভালো কাজের প্রশংসা বারে বারে করতে চাই

সোমবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২২

 

 

১৮২ বার পড়া হয়েছে

কাবেরী গায়েনঃ
গীতি ম্যা’মের ঠ্যালায়, উৎসাহে এবং গাড়িতে চেপে কোভিড টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছি। বুস্টার শুরু হলেও আমার হুশ ছিলো না। ম্যাডাম ফোন করে জানতে চাইলেন আমি কোন মেসেজ পেয়েছি কি না। আমি পাইনি, উনি পেয়েছেন। অতএব খেয়াল রাখতে বললেন মেসেজের দিকে। ম্যাডাম পাঁচ তারিখ রাতেও জিজ্ঞেস করলেন কোন বারতা এসেছে কি না আমার মোবাইলে। ছয় তারিখে উনি দিয়ে এলেন এবং আমাকে চোখ রাখতে বললেন। আমি চোখ রেখে চললাম কিন্তু শ্যামের বাঁশি তো বাজে না!

এরই মধ্যে শিক্ষক সমিতির মেসেজ পেলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বিএসএমএমইউ তে ব্যবস্থা করা হয়েছে আজ থেকে। সেই অনুযায়ী টিকা কার্ড এবং আগের দুই টিকার সনদসহ গেলাম সেখানে। পরিচ্ছন্ন ভবনটা দেখেই মন ভালো হয়ে গেলো। ওখানে ছিলেন দায়িত্বে আমাদের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ নিজামুল হক ভূইয়া এবং শিক্ষক সমিতির সদস্য অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার। খুবই আন্তরিকভাবে তারা অভ্যর্থনা জানালেন। টিকাকার্ডে তিন সিল লাগাতে যে কয় সেকেন্ড লেগেছে, তারপর টিকা কর্নারে গিয়ে বসতেই অল্প বয়সী এক মেয়ে এগিয়ে এলেন। জিজ্ঞেস করলাম ব্যথা লাগবে কি না, আমার বাক্য শেষ হবার আগেই বললেন হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কোন অসুবিধা বোধ করছি না।

এ যাবতকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি শিক্ষকদের টিকার ব্যাপারটি ভালোভাবেই মোকাবেলা করেছেন। বুস্টার ডোজের আয়োজন প্রত্যাশাতীত ছিলো আমার কাছে। সব সময় তো বকাবকিই করি। ভালো কাজের প্রশংসাও করা জ্রুরি। এমন ভালো কাজের প্রশংসা বারে বারে করতে চাই।

আসলে যত্ন নিয়ে করলে এমন সেবা বাংলাদেশে বসেও পাওয়া সম্ভব। সারা দেশের মানুষও যেনো পান একই মানের সেবা- এই প্রত্যাশা কেবল দীর্ঘশ্বাস না হয়ে বাস্তবায়িত হোক। নয়ত সুবিধাভোগী শ্রেণীর গ্লানিটা থেকেই যায়।
লেখকঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

ট্যাগ :

আরো পড়ুন