শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পরিবারের সম্পদের তথ্য ফাঁস

পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পরিবারের সম্পদের তথ্য ফাঁস

পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পরিবারের সম্পদের তথ্য ফাঁস

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০২২

 

 

৭৮ বার পড়া হয়েছে

প্রিয় পাঠকঃগত ছয় বছরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার পরিবারের সদস্যরা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেনাপ্রধান হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে ‘ফ্যাক্টফোকাস’ নামে একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

জিওটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার পরিবারের সদস্যদের করের তথ্য ‘অবৈধ ও অযৌক্তিক’ ফাঁস করার বিষয়টিকে সোমবার অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার নোটিশে নিয়েছেন। অর্থ বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘করের গোপন তথ্য ফাঁস পরিস্কারভাবে আইনের লংঘন।’

কর আইন লংঘনের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। কর বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী তারিক মেহমুদ পাশাকে ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি তদারক করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনও একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তবে ‘ফ্যাক্টফোকাস’র প্রতিবেদনে কামার জাভেদ বাজওয়ার স্ত্রী আয়েশা আমজাদ, পুত্রবধূ মাহনুর সাবির এবং পরিবারের অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সদস্যের আর্থিক লেনদেনের নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে।

এতে বলা হয়, সেনাপ্রধানের ছয় বছরের দায়িত্ব পালনকালে পরিবারের সদস্যরা বিলিয়নিয়ার হয়ে উঠেছেন। তারা একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসার মাধ্যমে একাধিক জায়গায় বিদেশি সম্পত্তি ক্রয় করে।

বিদেশে মূলধন স্থানান্তর, বাণিজ্যিক প্লাজা, বাণিজ্যিক প্লট, ইসলামাবাদ এবং করাচিতে বিশাল খামারবাড়ি এবং লাহোরে একটি বিশাল রিয়েল এস্টেট পোর্টফোলিওর মালিক হন। পাকিস্তানের ভেতরে এবং বাইরে গড়ে তোলা বাজওয়া পরিবারের জ্ঞাত সম্পদের পরিমাণ ১২ দশমিক ৭ বিলিয়ন রুপি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ২০১৩ সালের সম্পদ বিবরণী তিনবার সংশোধন করেছেন কামার জাভেদ বাজওয়া।
এতে বলা হয়, ২০১৩ সালের সংশোধিত সম্পদ বিবরণীতে জেনারেল বাজওয়া লাহোরের ডিএইচএ এলাকায় একটি বাণিজ্যিক প্লট যুক্ত করেছিলেন। তার দাবি, আসলে তিনি ২০১৩ সালেই প্লটটি ক্রয় করেছিলেন, তবে সেটি সম্পদ বিবরণীতে যুক্ত করতে ভুলে গিয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের অক্টোবরে সেনাপ্রধানের পূত্রবধূর কোনো সম্পদই ছিল না। কিন্তু এক মাসের ব্যবধানে একই বছরের নভেম্বরে তিনি বিলিয়নিয়ার হয়ে যান।

ট্যাগ :

আরো পড়ুন