মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

নারীর নিরাপদ জীবন ড. আনোয়ারা আলম

সূচনা সংখ্যাঃকরোনা ও বিপন্ন মানবতাঃঅধ্যাপক আনোয়ারা আলম

সূচনা সংখ্যাঃকরোনা ও বিপন্ন মানবতাঃঅধ্যাপক আনোয়ারা আলম

বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০

 

 

২৩০ বার পড়া হয়েছে

তখন লিবিয়া তে। গাদ্দাফির আমলে।এক রমজানের মাসে ইফতারের পরে গণ আদলত।আশেপাশে বহু লোকের সমাবেশ। প্রতিদিন দশ বারোজনের হাত বাঁধা অবস্থায় একদিকে অবস্থান। বিচার কার্যক্রম শেষে প্রত্যেকের ফাঁসি। কোথায়! এক বিশাল গাছে দড়িতে ঝুলিয়ে। অপরাধীর মুখে বা চোখে কোন কাপড় ও নেই। ফাঁসির পরে ঐ মৃতদেহকে কারো লাথি বা ইত্যাদি ইত্যাদি। এতো অমানবিক দৃশ্য দুই কি তিনদিন দেখার পরে আর সহ্য করতে পারতামনা। টিভি খোলা হতোনা।পরে শুনেছি কিছু সৈনিকের ব্যর্থ ক্যূ এর পরিণতি। সংখ্যা ছিল প্রায় চারশো।
আমাদের দেশের আইনি ব্যবস্থায় ব্রিটিশ প্রভুদের রেখে যাওয়া আইন কানুন।অতএব!!! আরব দেশে চোরের হাত কেটে দাও।ব্যস! আরেক বারে অন্যজনকে ভাবতে হবে।বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও দীর্ঘসূত্রিতার জন্য বছরের পর বছর ঝুলে থাকা। আর একটার পরে আরেকটা।
নারীর প্রতি শারীরিক আক্রমণ কি এখন থেকে!!!!!আমি চিন্তা করতে ও ভয় পাই। একটা সময়ে প্রায় মধ্যরাতে বন্ধুর বিয়ে শেষে জামাল খাঁন রোড দিয়ে বেশ কয়েক যুগল হেঁটে আসছি পিডিবি কলোনিতে।আবারও বলি।বারে বারে বলি এই স্বাধীন দেশে আমরা তথা নারীরা পুরুষ নামক কিছু হায়েনার হিংস্রতার শিকার। আর এখন যেন নিত্যকার ঘটে যাওয়া অপকর্ম!
ক্রস ফায়ার নয়, মামলা নয়,এ মুহূর্তে যদি এদের কয়েকজনকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার মতো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়া হয় তবে এ দেশের কোন নারীই নিরাপদ থাকবেনা।
তখন লিবিয়া তে। গাদ্দাফির আমলে।এক রমজানের মাসে ইফতারের পরে গণ আদলত।আশেপাশে বহু লোকের সমাবেশ। প্রতিদিন দশ বারোজনের হাত বাঁধা অবস্থায় একদিকে অবস্থান। বিচার কার্যক্রম শেষে প্রত্যেকের ফাঁসি। কোথায়! এক বিশাল গাছে দড়িতে ঝুলিয়ে। অপরাধীর মুখে বা চোখে কোন কাপড় ও নেই। ফাঁসির পরে ঐ মৃতদেহকে কারো লাথি বা ইত্যাদি ইত্যাদি। এতো অমানবিক দৃশ্য দুই কি তিনদিন দেখার পরে আর সহ্য করতে পারতামনা। টিভি খোলা হতোনা।পরে শুনেছি কিছু সৈনিকের ব্যর্থ ক্যূ এর পরিণতি। সংখ্যা ছিল প্রায় চারশো।
আমাদের দেশের আইনি ব্যবস্থায় ব্রিটিশ প্রভুদের রেখে যাওয়া আইন কানুন।অতএব!!! আরব দেশে চোরের হাত কেটে দাও।ব্যস! আরেক বারে অন্যজনকে ভাবতে হবে।বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও দীর্ঘসূত্রিতার জন্য বছরের পর বছর ঝুলে থাকা। আর একটার পরে আরেকটা।
নারীর প্রতি শারীরিক আক্রমণ কি এখন থেকে!!!!!আমি চিন্তা করতে ও ভয় পাই। একটা সময়ে প্রায় মধ্যরাতে বন্ধুর বিয়ে শেষে জামাল খাঁন রোড দিয়ে বেশ কয়েক যুগল হেঁটে আসছি পিডিবি কলোনিতে।আবারও বলি।বারে বারে বলি এই স্বাধীন দেশে আমরা তথা নারীরা পুরুষ নামক কিছু হায়েনার হিংস্রতার শিকার। আর এখন যেন নিত্যকার ঘটে যাওয়া অপকর্ম!
ক্রস ফায়ার নয়, মামলা নয়,এ মুহূর্তে যদি এদের কয়েকজনকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার মতো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়া হয় তবে এ দেশের কোন নারীই নিরাপদ থাকবেনা।লেখকের ফেসবুক থেকে নেয়া

ট্যাগ :

আরো পড়ুন