শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

নন্দিত-নিন্দিত মিখাইল গর্বাচেভ

নন্দিত-নিন্দিত মিখাইল গর্বাচেভ

নন্দিত-নিন্দিত মিখাইল গর্বাচেভ

বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২

 

 

৮১ বার পড়া হয়েছে

প্রিয় পাঠকঃবিশ্বে এক পক্ষের কাছে চার দশকের স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য নন্দিত আর অন্য পক্ষের কাছে নিন্দিত রাশিয়ায় সমাজতন্ত্রের পতন ঘটানোর জন্য মিখাইল সের্গেয়েভিচ গর্বাচেভ। বার্লিন দেয়াল ভেঙ্গে জার্মানিকে এক করার মতো ঐতিহাসিক কাজের মূলে তিনিই ছিলেন। ১৯৮৫ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর সোভিয়েত ইউনিয়নকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সংস্কারনীতি গ্রহণ করেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত তার নীতির কারণেই পতন ঘটে বিশ্ব পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের।

২০ শতকের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা হিসাবে বিবেচনা করা হয় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সবশেষ নেতা মিখাইল সের্গেয়েভিচ গর্বাচেভকে। সমাজতন্ত্রকে আরও কার্যকর করতে তার গৃহীত উদারনীতি কমিউনিজম ও সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মূল কারণ বলে মনে করা হয়।

তবে দেশে সমালোচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন গর্বাচেভ।

বার্লিন দেয়াল পতনের মাধ্যমে এক হয় দুই জার্মানি। যার পেছনের কারিগর ছিলেন গর্বাচেভ। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের কারণে অনেক রুশ নাগরিক এখনও গর্বাচেভকে ক্ষমা করতে পারেননি।

জার্মানির সাথে মধ্যস্থতাকারী জেমস বেকার বলেন, গর্বাচেভকে ইতিহাস মনে রাখবে মহান হিসাবে। যদিও অনেক রুশ নাগরিক তাকে বিশ্বাসঘাতক মনে করে।

তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে চার দশকের স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটে তারই হাত ধরে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ছাড়াও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিভক্ত ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি।

১৯৯০ সালে পশ্চিমাদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য শান্তিতে নোবেল পদক দেয়া হয় গর্বাচেভকে।

১৯৮৫ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর গর্বাচেভ সোভিয়েত ইউনিয়নে কমিউনিজমের সংস্কারে শুরু করেন তার গ্লাসনস্ত বা স্বচ্ছতা এবং পেরেস্ত্রোইকা বা পুনর্গঠন নীতি।

গ্লাসনস্ত নীতি নেওয়ায় সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে কট্টর গণতন্ত্রপন্থীরা কঠোরভাবে অতীতের অর্জন ভুলে শুধু ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনা শুরু করে।

তার সংস্কার নীতি সোভিয়েত ইউনিয়নকে দুর্বল করে তোলে। ভ্লাদিমির পুতিন গর্বাচেভের পদক্ষেপকে বিশ শতকের সবচেয়ে বড় ভূরাজনৈতিক বিপর্যয় বলে উল্লেখ করেন।

গর্বাচেভের নেওয়া নীতি আমলাতন্ত্রসহ পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। যার ফলে মাত্র ছয় বছরেই ১৯৯১ সালে পতন ঘটে পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের।

ট্যাগ :

আরো পড়ুন