রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

চকবাজারে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১২ জন আহত

চকবাজারে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১২ জন আহত

চকবাজারে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১২ জন আহত

সোমবার, ৬ মে, ২০২৪

 

 

বার পড়া হয়েছে

প্রিয় পাঠক:চট্টগ্রামের মহসিন কলেজের ছাত্রলীগের সঙ্গে চকবাজার থানা ছাত্রলীগ নেতার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।সোমবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর চট্টগ্রাম মহসিন কলেজের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ। পদযাত্রা শেষে কলেজের সামনেই চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ইরাকের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আহত হন ৭ থেকে ৯ জন ছাত্রলীগকর্মী। এরপর কলেজ ছাত্রলীগ নেতারাও অবস্থান নেয় ক্যাম্পাসে। পরে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন-মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম, মফিজুর রহমান (বিএসএস ফাইনাল), আরমান হোসাইন (বিবিএস তৃতীয় বর্ষ), মোহাম্মদ তাকিব (বিবিএস ৪র্থ বর্ষ), আরবিন আরমান (২য় বর্ষ), সাইদুল (বিএসএস ৩য় বর্ষ), নাফিস (বিবিএস ২য় বর্ষ), শিহাব (বিএসএস ২য় বর্ষ), রিমনও অন্তর (এইচএসসি ২য় বর্ষ) আহত হয়েছে। অন্য পক্ষে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম সহ ইমরান খান ইমন ও আশিকুল ইসলাম রবিন নামে আরও দুজন আহত হয়।

কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মসূচি পালন করে কলেজে প্রবেশের সময় জাহিদের নেতৃত্ব হামলা করা হয়েছে। হামলায় অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। কেন তারা হামলা করলো বুঝতে পারছি না।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার কলেজের ভেতরে গাঁজা খাচ্ছিলেন মজিদ নামের এক বহিরাগত। বিষয়টি চকবাজার থানাকে জানিয়েছিলাম আমরা। এরপর থানা থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেজন্যও হয়ত আমাদের উপর হামলা হতে পারে।

চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ইরাকের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও যোগাযোগ করা সম্ভব যায়নি।

চকবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কেউ হতাহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

ট্যাগ :

আরো পড়ুন