বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

করোনার রিপোর্ট জালিয়াতিঃ ডা. সাবরিনা-আরিফসহ ৮ জনের কারাদণ্ড

করোনার রিপোর্ট জালিয়াতিঃ ডা. সাবরিনা-আরিফসহ ৮ জনের কারাদণ্ড

করোনার রিপোর্ট জালিয়াতিঃ ডা. সাবরিনা-আরিফসহ ৮ জনের কারাদণ্ড

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২

 

 

১১৮ বার পড়া হয়েছে

প্রিয় পাঠকঃকরোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার প্রতারণার মামলায় জে কে জি হেলথ কেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৮ জনের ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন— আবু সাঈদ চৌধুরী, হিমু, তানজিলা, বিপুল, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। মামলাটিতে মোট ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

রায়ে প্রতারণার দায়ে তাদের প্রত্যেককে তিন বছর করে কারাদণ্ড এবং তিন হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাগারে থাকতে হবে।

এ ছাড়া জালিয়াতির দায়ে তাদের আরও চার বছর কারাদণ্ড এবং চার হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও চার মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

রায়ে আরেক ধারায় তাদের চার বছর করে কারাদণ্ড এবং চার হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের চার মাস কারাগারে থাকতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় ডা. সাবরিনা ও আরিফসহ আট আসামির সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে আসামিদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। তাদের রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ নাহিদ হোসেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে ভুয়া রিপোর্ট দেয়। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করলে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও এবং জেবুন্নেসা।

চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন বলে জানানো হয়। একই বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। সেসময়ও তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।

ট্যাগ :

আরো পড়ুন