প্রিয় পাঠকঃবাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের কাজ শুরু হয়েছে বেশক বছর আগেই।সেগুলো ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। কয়েকটি মেগা প্রজেক্টের মধ্য দিয়ে নতুন এক বাংলাদেশকে দেখবে বিশ্ব।তারই কয়েকটির দ্বার উন্মোচিত হবে ২০২২সালে।
অতিথের সব অপ্রাপ্তি ভুলে গিয়ে ২০২২ সালে সম্ভাবনার সব দ্বার উন্মোচিত হোক। এই প্রত্যাশা নিয়ে নতুন বছরেই স্বপ্নের পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন করার সম্ভাবনা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে জনদুর্ভোগ নিরসনে এই তিন প্রকল্প খুলে দিতে চায় সরকার।
২০২২ সালের জুনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে। আর তরুণ প্রজন্মের ড্রিম প্রজেক্ট মেট্রোরেল ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। একইসঙ্গে ২০২২ সালে চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন করা হবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পিচঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে অক্টোবর মাসের শেষ দিকে। এ কাজে তিন মাসের মতো সময় লাগতে পারে। সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতু বিভাগকে জানিয়েছে, তারা আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই সব কাজ শেষ করবে।
সব মিলিয়ে আগামী মে মাসেই পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব। তবে সেতু বিভাগ জানিয়েছে, দিনক্ষণ ঠিক করা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনার পর।
অন্যদিকে মেট্রোরেল পুরোপুরি বিদ্যুচ্চালিত রেল। বাংলাদেশে এই প্রথম বিদ্যুচ্চালিত কোনো রেল চালু হতে যাচ্ছে। মেট্রোরেল পল্লবী, রোকেয়া সরণি, শাহবাগ, টিএসসি হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। এর মাঝে ঢাকার ব্যস্ত ফার্মগেট সহ মেট্রোরেল থামবে গুরুত্বপূর্ণ সব স্টেশনে। মেট্রোরেলে ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে ৬০ হাজার যাত্রী আনা নেওয়া করতে সক্ষম হবে বলে দাবি করছেন কর্মকর্তারা।
মেট্রোরেলের পুরো প্রকল্পে খরচ হবে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে জাপানের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা জাইকা দিচ্ছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্পগুলোর পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল। এই দুটি প্রকল্প উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ঢাকার প্রবল যানজট সমস্যার অনেকাংশে সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Sorry. No data so far.
Sorry. No data so far.