শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

সমন্বয়ের নামে দাম বাড়ছে গ্যাস-বিদ্যুতেরঃজনগণের নাভিশ্বাস

১ মার্চ থেকে আবারও বাড়ছে বিদ্যুতের দাম

১ মার্চ থেকে আবারও বাড়ছে বিদ্যুতের দাম

শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

 

 

১৩ বার পড়া হয়েছে

প্রিয় পাঠকঃসমন্বয়ের নামে প্রতি মাসেই দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাহী আদেশের কারণে যাচাই-বাছাই বা সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জের সুযোগ থাকছে না। ফলে গ্রাহকের নাভিশ্বাস উঠছে।

ডিসেম্বরে অধ্যাদেশ জারির পর গত মাসে সংসদে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইনের সংশোধনী পাস করা হয়। যার মাধ্যমে গণশুনানি ছাড়াই নির্বাহীর আদেশে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা যাচ্ছে।

বরাবরের মতো গণশুনানির মাধ্যমেই বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম ঠিক করা হবে বলে শুরুতে আশ্বাস দিয়েছিলেন নীতিনির্ধারকরা। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, কেবল বিশেষ পরিস্থিতিতেই নির্বাহী আদেশে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম সমন্বয় হবে।

তবে বাস্তবতা দেখা গেল ভিন্ন। আইনে সংশোধনী আনার পর জানুয়ারিতে ১৮ দিনের ব্যবধানে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় দুই দফায়। প্রতিবার ৫ শতাংশ করে একমাসের ব্যবধানে ভোক্তার কাঁধে চাপানো হয় ১০ শতাংশেরও বেশি বাড়তি দামের বোঝা। এর মধ্যে আবার আবাসিক-সিএনজি বাদে বাকি সব খাতেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। কোনো কোনো খাতে বৃদ্ধির হার ছিল ১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত। আর এ ঘোষণার সবগুলোই গণশুনানি ছাড়াই নির্বাহী আদেশে এসেছে।

এদিকে নসরুল হামিদ বলেছিলেন যে, সরকারের পরিকল্পনায় প্রতি মাসেই গ্যাস-বিদ্যুতের দামে সমন্বয় করা হবে।

কিন্তু কেনো এই দাম বৃদ্ধি? নীতিনির্ধারকরা অবশ্য বলছেন, বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে নিরূপায় হয়েই এ পথে হাঁটতে হচ্ছে। আর দাম বাড়ানোর পরও সরকারকে বড় অঙ্কের ভর্তুকি দিতে হবে।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ৯ ডলারের এলএনজির দাম ৫০ ডলার ছাড়িয়েছে। একইভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডিজেল এবং কয়লার দামও।

ট্যাগ :

আরো পড়ুন