প্রিয় পাঠকঃনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আলোচিত এ অগ্নিকাণ্ড সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘হাসেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজে’ ঘটেছে। প্রতিষ্ঠানের মালিক সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডি মোহাম্মদ আবুল হাসেম। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরে। ১৯৮২ সালে পাকিস্তানের সেজান জুস আমদানির মধ্য দিয়ে ব্যবসা শুরু। ট্রেডিং নির্ভর প্রতিষ্ঠানটি পরবর্তীতে সেজান জুসসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের উৎপাদনে আসে। দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেয় মোটা অংকের ঋণ।
তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সজীব করপোরেশন, হাশেম ফুডস লিমিটেড, হাশেম অটো রাইস মিলস, সজীব ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, হাসেম অ্যাগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড, তাকফুল ইসলামী বিমা লিমিটেড, হাসেম ফ্লাওয়ার মিলস লিমিটেড, সজীব হোমস লিমিটেড, মারস ইন্টারন্যাশনাল, সজীব লজিস্টিকস ও স্যাভি ফুডস।
বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, এক দশক আগেও গ্রুপটির আকার ছিল ৫০০ কোটি টাকা। চলতি বছরের মে মাসে গ্রুপটির ১১ প্রতিষ্ঠানের কাছে ডজন খানেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ পাওনা ১ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা ঋণ।
বিভিন্ন ব্যাংক সূত্র জানা গেছে, সজীব গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সজীব করপোরেশনের নামে ঋণ আছে ৩৬০ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় রাজধানীর ফার্মগেট। আর হাসেম রাইস মিলস লিমিটেডের নামে ব্যাংকঋণ আছে ৩৩৮ কোটি টাকা। চাল উৎপাদনের এ মিলের অবস্থান রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায়।
সজীব গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে হাসেম ফ্লাওয়ার মিলস লিমিটেডের নামে ২০১ কোটি, সজীব লজিস্টিকস লিমিটেডের নামে ৩৮ কোটি, সজীব হোমস লিমিটেডের নামে ২৯ কোটি, হাসেম অ্যাগ্রো প্রসেসিং লিমিটেডের নামে ২০ কোটি, হাসেম অটো রাইস মিলের নামে ৮ কোটি, স্যাভি ফুডস লিমিটেডের নামে ৩ কোটি ও মারস ইন্টারন্যাশনালের নামে ২১ লাখ টাকার ব্যাংকঋণ রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে সজীব গ্রুপকে দেওয়া ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা। কীভাবে ঋণের অর্থ আদায় করবেন এ নিয়ে শঙ্কায় আছেন ব্যাংকাররা।