প্রিয় পাঠকঃকরোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের পক্ষ থেকে দুই দফা সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বশেষ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে সর্বাত্মক লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ মানুষজনের চলাচলের প্রতি কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
চলমান লকডাউনের কারণে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার দাবি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে দোকানমালিকদের ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে।
তবে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন মনে করছেন আগামী সোমবার (২৬ এপ্রিল) থেকে দেশের সব দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেওয়া হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছি। আমরা সবসময় মনেকরি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিভাবক হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই জন্য আমরা কখনো ওনার কাছে আবেদন করে খালি হাতে ফেরত আসিনি।
ব্যবসায়ীদের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের চোখে মুখে শুধু বালুচর। আমাদের সব ইনভেস্টমেন্ট এখন নষ্ট হওয়ার পথে। সেই ক্ষেত্রে আমরা আশা করতেছি আগামী রোববার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটা সুসংবাদ পাব, যাতে আমরা সোমবার দোকাপাট খুলতে পারি।
দোকান ও শপিং মল খুলে দেওয়া হলে ব্যবসায়ীরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করবে বলে মনে করছেন হেলাল উদ্দিন।
সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ অনুযায়ী দোকানপাট ও শপিং মল বন্ধ রাখা হয়েছে। ঈদের আগে যদি দোকানপাট ও শপিং মল খোলার সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পথে বসে যাবেন। এসব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী আগামী সোমবার দোকান ও বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে মনে করেন দোকান মালিক সমিতির নেতারা।