প্রিয় পাঠকঃদেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের কারণে ট্রেনে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রয়েছে প্রায় দেড় মাস। তবে এই সময়ে বেড়েছে পণ্য পরিবহন। তারপরও প্রায় দেড়শো কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
সরকারের লোকসানী সেবা খাত রেলওয়ে। অনিয়মের কারণে প্রতিবছরই হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসান গুণতে হয় এ খাতকে। এ দীর্ঘদিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত এ পরিবহন সংস্থার লোকসানের পাল্লা আরও বেড়েছে।
৫ এপ্রিল থেকে বন্ধ রেল চলাচল। সরকারি নির্দেশনায় ঈদযাত্রাতেও মেলেনি সেবা। তাই স্টেশনে ভিড় নেই, অলস পড়ে আছে ইঞ্জিন আর বগি। তবে, ট্রেন না চললেও থেমে নেই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। লকডাউনেও লাইন সচল রাখতে চলছে তদারকি।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, আরও বেশি লোকসান ঠেকাতে রেলের ইঞ্জিন, বগি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ যেন বিকল না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
রেল মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, যাত্রী পরিবহন থেকে মাসে গড় আয় প্রায় ৯০ কোটি টাকা। ঈদে আয় বাড়ে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা। লকডাউনে ট্রেনে পণ্য পরিবহন বাড়ায় আয় হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। তারপরও দেড় মাসে প্রায় দেড়শো কোটি টাকা লোকসান।
দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় রেল যন্ত্রাংশ বিকল থাকার শঙ্কা থাকে। বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে বলে জানান রেলমন্ত্রী।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্টি পরিস্থিতিতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আয় হবে না রেলওয়ের। ফলে রাজস্ব আয় না হলেও খরচ বেড়ে যাবে। এতে পরিচালন ব্যয় তুলনামূলক বেশি হবে। ফলে অর্থবছর শেষে রাজস্ব আয় ও পরিচালন ব্যয়ে বড় ধরনের পার্থক্য তৈরি হবে।