প্রিয় পাঠকঃসেই পাঁচ বছর বয়সে অখ্যাত গ্রান্দোলি দিয়ে ফুটবলে হাতেখড়ি লিওনেল মেসির। সেই থেকে কেটে গেছে তিন দশক। এর মধ্যে ফুটবল আকাশের মহিরুহ হয়েছেন। জিতেছেন ব্যক্তিগত এবং দলীয় অনেক অনেক পুরস্কার। তবুও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ যেন পাওয়া হচ্ছিল না।
একপর্যায়ে তো বলেই বসলেন, ফুটবলের ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের ব্যালন ডি’অরও ছুড়ে ফেলতে পারেন, যদি মেলে কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি। অবশেষে জিতলেন এবার কাতার বিশ্বকাপের মঞ্চে এসে। কাতারে মেসিরা যখন সোনালি ট্রফি ছুঁয়েছেন, আকাশের কোনো এক তারা হয়ে সেই দৃশ্য দেখছিলেন প্রয়াত কিংবদন্তি দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা।
যার হাত ধরেই কিনা ১৯৮৬ সালে সর্বশেষবার আর্জেন্টিনা জিতেছিল ফিফা বিশ্বকাপের ট্রফি। এই ম্যারাডোনা ছিলেন তার অনুজ ফুটবলারদের সবচেয়ে পাগলাটে সমর্থক। প্রতিটি বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে শুরু করে আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের অন্যসব সাফল্য যিনি ছিলেন সবচেয়ে উচ্ছ্বসিত ব্যক্তি। অথচ, দলের সেরা সাফল্য দেখা হয়নি ম্যারাডোনার। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর পাড়ি জমিয়েছেন অনন্তলোকে।
মর্ত্যলোকে না থাকলেও স্বর্গ থেকেই দলকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন ম্যারাডোনা, এমনটাই জানিয়েছেন মেসি। বিশ্বকাপ জেতার পর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন মেসি। যেখানে তিনি ম্যারাডোনার অনুপ্রেরণা জোগানোর বিষয় ছাড়াও তুলে এনেছেন নিজের ফুটবল জার্নিও। সেই ভিডিওর ক্যাপশনে মেসির বলা সব কথাই তুলে ধরা হলো।
‘গ্রান্দোলি থেকে কাতার বিশ্বকাপ পর্যন্ত প্রায় ৩০ বছর কেটে গেছে। প্রায় তিন দশকের এই সময়ে ফুটবল আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে, কিছু দুঃখও দিয়েছে। সবসময়ই আমার স্বপ্ন ছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আমি কখনো চেষ্টা করা থামাইনি, এমনকি এটাও জানতাম যে এটা কখনো নাও পেতে পারি।