প্রিয় পাঠকঃযুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ এর মতো বড় ক্রেতা দেশগুলো মিয়ানমারের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে, লাভবান হতে পারে বাংলাদেশ। এসব দেশে তৈরি পোশাক, হিমায়িত খাদ্যসহ কয়েকটি পণ্যের সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি বাজার ধরা সম্ভব বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
গত অর্থবছরে মিয়ানমারে বাংলাদেশের রপ্তানি হয়েছে ২ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের পণ্য। যার বেশিরভাগই ওষুধ খাতে। দেশটিতে হিমায়িত খাদ্য, পোশাক, জুতাসহ পণ্য রপ্তানি হয়। আর মিয়ানমার থেকে আসে চাল , ডাল, পেঁয়াজসহ কিছু নিত্যপণ্য।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধা কাজে লাগিয়ে পোশাক রপ্তানিতে ভালো অবস্থানে উঠে এসেছে মিয়ানমার। সবশেষ হিসেবে, ২০১৯ সালে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে মিয়ানমার পোশাক রপ্তানি করে ২২১ কোটি ইউরো। আর যুক্তরাষ্ট্রর বাজারে রপ্তানি হয় ২৫ কোটি ডলারের বেশি।
তবে সেনা অভ্যুত্থান ও জরুরি অবস্থা জারি ও নতুন করে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা হলে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যে কি প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
এছাড়াও নেপিদোর সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বড় সমস্যা হবে না- মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। দেশটিতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাংলাদেশের জন্য সুযোগ- বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতারা।যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে মিয়ানমারের রপ্তানি পণ্যের বাজার পেতে দেশের ব্যবসায়ীদের তৎপর থাকার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
এদিকে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পণ্যবোঝাই কোনো ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরে আসেনি।
Sorry. No data so far.
Sorry. No data so far.