Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the wordpress-seo domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/preyopathok/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the advanced-ads domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/preyopathok/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
বিএনপিতে ইদ্রিস আলীরা যেভাবে পদ বঞ্চিত হয় - PreyoPathok

মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএনপিতে ইদ্রিস আলীরা যেভাবে পদ বঞ্চিত হয়

বিএনপিতে ইদ্রিস আলীরা যেভাবে পদ বঞ্চিত হয়

বিএনপিতে ইদ্রিস আলীরা যেভাবে পদ বঞ্চিত হয়

বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪

 

 

৪০ বার পড়া হয়েছে

প্রিয় পাঠকঃরাজনীতিতে ভাগ্য বলে একটা কথা বেশ প্রচলিত।রাজনীতিবিদরাও অনেকে সংস্কার হিসাবে এটা মেনে চলেন ।সেটাকে মেনে নিয়েই গড়েন নিজ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার।কিন্তু ভাগ্য যে সব সময় কারো পক্ষে যায় সেটা নয়। ভাগ্যের বাইরেও রাজনীতির মারপ্যাঁচ বড় একটা ফ্যাক্টর হয়ে উঠে ।বিশেষ করে দলে কোন কমিটি গঠন, দলের পদ পদবী, কিংবা নমিনেশন এর বেলায়।

বিশেষ করে কোন সাংগঠনিক কমিটি ঘোষণার পরপরই শুরু হয় চুলচেড়া বিশ্লেষণ।পক্ষে বিপক্ষে উঠে নানা অভিযোগ।রাজনীতির মারপ্যাঁচে পড়ে বাদ পড়ে যান অনেক ত্যাগী নেতা।দলের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কাছে যাদের গ্রহনযোগ্যতা ও দলের প্রতি কমিটমেন্ট প্রশ্নাতীত।

তেমনিএকটি আলোচিত বিষয় সদ্য ঘোষিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কমিটি।৮৭ দিন পর ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বাদ পড়েছেন অনেক ত্যাগী নেতা।যারা বিগত ১৬ বছর নানা মামলা হামলার শিকার হয়েও দলের জন্য কাজ করে গেছেন ঝুঁকি নিয়ে।বাদ পড়েছেন আগের কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মান্নান, সদস্য শামসুল আলম ও মোহাম্মদ আলী, চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব আলম, মোহরা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নাজিম উদ্দিন আহমেদএর মতো পরিচিতি নেতারা।

তাদেরই মতো একজন নগর বিএনপির সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক মো: ইদ্রিস আলী । তাকে নিয়ে নেতাকর্মী ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ট্রল হচ্ছে।
এ নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন নগর বিএনপির বাদ পড়া কিংবা যথাযথ মুল্যায়ন না হওয়া বঞ্চিত নেতারা।এরা না পেলেও ১৬ বছর সংগঠনের বাইরে থাকা
কিংবা আওয়ামী লীগের দোসরদের ঘনিষ্ট কেউ কেউ কমিটিতে স্থান পাওয়ায় নেতাকর্মীরা বিস্মিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগ শাসনামলে চারদিকে যখন ধরপাকড় চলছল তখন নিয়মিত গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে দলকে তুলে ধরেছেন বিলুপ্ত কমিটির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. ইদ্রিস আলী। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দপ্তরের দায়িত্ব সামলিয়েছেন অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে। শাহাদাতের মেয়র নির্বাচনের সময়ও মিডিয়া সেলের প্রধান ছিলেন তিনি। এবার তাকে একেবারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে ‘দূরে’। তার পদ না পাওয়া নিয়ে অবাক নেতাকর্মী সবাই। সবার ধারণা ছিলো, তিনি আবারো আগের দায়িত্বে ফিরবেন।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের বাসিন্দা দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য ও সদ্য গুরুত্বপূর্ণ চেয়ার পাওয়া এক নেতার গুডবুকে না থাকায় ইদ্রিস আলীর ঠাঁই হয়নি এই কমিটিতে।

দলীয় সুএ জানায়,ইদ্রিস আলী তৃণমূল থেকে রাজনীতি শুরু করেছেন। নগরের পাঁচলাইশ থানার চাইল্যাতলী ইউনিট ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। এরপর পাঁচলাইশ ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের নির্বাচিত সম্পাদক। পরে বৃহত্তর পাঁচলাইশ থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হন। এরপর বায়েজিদ থানা ছাত্রদলের নির্বাচিত সম্পাদক। পরে মহানগর ছাত্রদলের যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। একে একে ওয়ার্ড বিএনপির দপ্তর সম্পাদক, থানা বিএনপির প্রচার সম্পাদক, বায়েজিদ থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, নগরের সহ-দপ্তরের সম্পাদকের পর দপ্তরের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ সময়। তার নামে আছে রাজনৈতিক মামলা, খেটেছেন জেলও।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় চট্টগ্রাম-১৬ আসনের মিডিয়া সেলের প্রধান ছিলেন ইদ্রিস। ২০২১ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ডা. শাহাদাত হোসেনের মিডিয়া সেলের প্রধান করা হয় তাকে।

দলের তৃণমূলে নেতাকর্মীদের চাওয়া দলের দুর্দিনে এসব নেতাদের কমিটিতে জায়গা দিয়ে মুল্যায়ন করা হোক।

ট্যাগ :

আরো পড়ুন