মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজ কেন বার বার আলোচনায়?

বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজ কেন বার বার আলোচনায়?

বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজ কেন বার বার আলোচনায়?

মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩

 

 

১১৯ বার পড়া হয়েছে

প্রিয় পাঠকঃসমালোচনা আর বিতর্ক যেন একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে বাঁশখালীর সরকার দলীয় সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নামের পাশে। নানা বিতর্কিত কর্মকান্ড করে প্রায়শ আলোচনার পাদপ্রদীপে থাকেন। কখনও সরকারী কর্মকর্তা, কখনও সাংবাদিক পিটিয়ে তিনি বার বার লাইমলইটে এসেছেন।পুলিশ, বনকর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি কেউ তার হাত থেকে বাদ যাননি। দলীয় নেতকর্মীদের তিনি বেদম পেটানোর ঘটাও ঘটিয়েছেন একাধিকবার।এবার তিনি আলোচনায় এসেছেন প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে।তার এসব কর্মকান্ড আওয়ামীলীগকে বিতর্কিত করছে। দলের সাংগঠনিক ইমেজকে ক্ষুন্ন করছে বলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা মনে করছেন।

এভাবে একের পর এক বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়ে তিনি এখন নিজ দলের মাঝেও তোপের মুখে পড়েছেন।২০০০ সালে তার গালাগালের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল।তার এসব কাজের পরিণতি স্বরুপ দলের নেতাকর্মীরে রোষানলেও পড়তে হয় তাকে।গত বছরের ২ সেম্টেম্বর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলঅ আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় তাকে লক্ষ্য করে পানির বোতল ও খাবারের খালি প্যাকেট ছুড়ে মারে নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সোমবার (২২ মে) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ এবং তাদের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতেও মিছিল করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। হাতে রিভলবার নিয়ে সেই মিছিলে অংশ নেন চট্টগ্রাম-১৬ আসনের (বাঁশখালী) সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।

ইতোমধ্যে তার এই ছবি সহ নিউজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি বাঁশখালী থানা ও উপজেলা পরিষদ চত্বর ঘুরে শেষ হয়। এরপর সেখানে একটি সমাবেশ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন এমপি মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি রিভলবার হাতে মিছিলের সামনেই ছিলেন।

এমপি মোস্তাফিজুরের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে মিছিলের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ৩ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে এমপি মোস্তাফিজুর রহমানকে রিভলবার হাতে মিছিলের সামনে হাঁটতে দেখা যায়। একপর্যায়ে তাকে রিভলবারটি নাড়াচাড়া করতে দেখা যায়।

তার অনুসারীরা বলছেন, মিছিলে বহনকৃত অস্ত্রটি মন্ত্রীর লাইসেন্সকৃত রিভলভার। তিনি সবসময়ই ব্যতিক্রম কিছু করার চেষ্টা করেন। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ মিছিলে তিনি প্রকাশ্যে অস্ত্র বহন করেছেন।
তার পক্ষে কথা বলার লোক যেমন রয়েছে তেমনি তার এসব কর্মকান্ডে নিজেদের নিয়ে বিব্রত হওয়া দলের নেতাকর্মীর সংখ্যাও কম নয়। তার আচার আচরন একজন আইন প্রণেতা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির সাথে খাপ খায়না বলে তাদের মত। তিনি বিভিন্ন সভা সমাবেশে প্রকাশ্যে চট্টগ্রামের আঞলিক ভাষায় গালাগাল করে থাকেন নিয়মিত।বাঁশখালীকে তিনি তার পৈতৃক তালুক মনে করেন বলে এসব নেতাকর্মীদের অভিযোগ।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন মম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনে মিছিল সমাবেশ করবো।সেখানে পিস্তল নিয়ে মিছিল করতে হবে কেন?

বাঁশখালী থানার ওসি কামাল উদ্দিন বলেন এমপির কাছে একটা লাইসেন্স করা পিস্তল আছে।হয়তো নিজের নিরাপত্তার জন্য তিনি এটা সাথে রেখেছেন।

অতীতে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওয়দুল কাদের ও প্রয়াত আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবুকে নিয়ে কটুক্তি ও খারাপ মন্তব্য করতেও চাড়েননি তিনি।তার এঘটনার প্রতিকাদে বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছিল দক্ষিণ জেলা ছাএলীগ।

ট্যাগ :

আরো পড়ুন