বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

নাসির গ্লাসের ভ্যাট ফাঁকি

নাসির গ্লাসের ভ্যাট ফাঁকি

নাসির গ্লাসের ভ্যাট ফাঁকি

বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

 

 

৪০১ বার পড়া হয়েছে

প্রিয় পাঠকঃগ্লাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নাসির গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজে অভিযান চালিয়ে ১৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে এনবিআরের ভ্যাট নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা অধিদপ্তর।এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মামলা করা হয়েছে।ভ্যাট নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নাসির গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় রাজধানীর বারিধারা অ্যাভিনিউতে আর প্রতিষ্ঠানটির কারখানা শ্রীপুর, নগর হাওলা জৈনাবাজারে অবস্থিত।

ভ্যাট গোয়েন্দা অফিসের সহকারী পরিচালক মো. মাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল প্রধান কার্যালয় ও কারখানায় অভিযান চালায়। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির বিক্রির প্রয়োজনীয় দলিলাদি ও বার্ষিক অডিট রির্পোট জব্দ করা হয়।

এসব ডকুমেন্টের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত করা হয়। ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত তদন্ত পরিচালনা করা হয়।

ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক অডিট প্রতিবেদন, দাখিলপত্র এবং বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানের জমাকৃত ট্রেজারি চালানের কপি ও অন্যান্য দলিলাদি পর্যালোচনা করে এসব ফাঁকি উদঘাটন করা হয় ।তদন্তে দেখা যায়, নাসির গ্লাস ২ কোটি ৯ লাখ ৯ হাজার ৮৩৩ টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেছে।

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রদেয় ভ্যাটের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ২৯ লাখ ১২ হাজার ৯৩৮ টাকা। ফলে এখানে সরকারি পাওনা ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।

যথাসময়ে সরকারি কোষাগারে ভ্যাট জমা না দেয়ায় ওই ফাঁকির ওপর ২ শতাংশ হারে অতিরিক্ত প্রযোজ্য সুদ আরোপ করা হয়।

এক্ষেত্রে জরিমানা হিসেবে ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। কোম্পানি প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়।

বিক্রয়ের তথ্য গোপন করার পাশাপাশি নাসির গ্লাস কর রেয়াত সুবিধার অপব্যবহার করে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে।

তদন্তে আরও দেখা যায়, শিল্পে ব্যবহারের কথা বলে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে স্পেয়ার পার্টস আমদানি করলেও পণ্যগুলো খোলা বাজারে বিক্রয় করে দেয়। এ ক্ষেত্রে ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয় ৮ কোটি টাকার বেশি।

যথাসময়ে ভ্যাট পরিশোধ না করায় এই ফাঁকির ওপর ২ শতাংশ হারে সুদ প্রযোজ্য। ফলে এখানে ফাঁকি ধরা পড়ে ১ কোটি ৯১ লাখ ৯৯ হাজার ২২০ টাকা।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, তদন্তকালীন প্রতিষ্ঠানটি সুদ-আসলে মোট ১৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। এই ফাঁকির অভিযোগে আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

ট্যাগ :

আরো পড়ুন