প্রিয় পাঠকঃদ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি নিয়ে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।পরিবারের ব্যয় সমন্বয় করতে পরিবার কর্তার নাজেহাল অবস্থা।বিশেষ করে নিম্নবিত্ত , মধ্যবিত্তের অবস্থাতো করুণ। দিন দিন লফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। নিয়ন্ত্রন করার যেন কেউ নেই।কোথায় যাবে কার কাছে যাবে সে নিয়েও দিশেহারা।
সাধারণ মানুষকে জরুরি ভিত্তিতে ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশি সেবা দেওয়ার জন্য জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ চালু করে সরকার। তবে বর্তমানে পণ্যের দাম সংক্রান্ত এ ধরনের প্রশ্নেরও সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের।
৯৯৯ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিনে এ ধরনের তথ্য চেয়ে সহস্রাধিক ফোন পেয়েছেন তারা। গ্রাহকদের অধিকাংশের প্রশ্ন ছিল, সবজির দাম কবে কমবে? রোজায় পণ্যের দাম কমবে নাকি বাড়বে? মশলার দাম কেন বাড়ছে? সয়াবিন তেলের দাম কত হবে? রোজায় চিনির দাম কি আরও বাড়বে?
জরুরি সেবা ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার গনমাধ্যমকে বলেন, ৯৯৯ মূলত পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স সংক্রান্ত কলগুলোর বিস্তারিত হিসাব রাখে। বর্তমানে দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত অনেক কল পাচ্ছি আমরা। আমাকে ৯৯৯-এর একজন অপারেটর জানালেন, তিনি শনিবার একাই এ ধরনের ৪টি ফোন রিসিভ করেছেন। সবাই জিজ্ঞেস করে ‘জিনিসপত্রের এত দাম, তারা কী খাবে, কোথায় যাবে, কীভাবে চলবে?’ সেসব কলারকে আর্থিক সহায়তার জন্য জাতীয় কল সেন্টার ‘৩৩৩’-এ কল করতে বলা হয়।
তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করেন তাদের কাছ থেকে দোকানদাররা দ্রব্যমূল্য অতিরিক্ত রাখছেন সেক্ষেত্রে তাদের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আমরা যদিও জরুরি সেবা দিয়ে থাকি তারপরেও জনসাধারণের সুবিধার্থে আমরা এ ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি।