বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

দুদক কার্যালয়ে আমির খসরু

দুদক কার্যালয়ে আমির খসরু

দুদক কার্যালয়ে আমির খসরু

সোমবার, ১ মার্চ, ২০২১

 

 

৬০৫ বার পড়া হয়েছে

প্রিয় পাঠকঃবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কেন এখানে (দুদক) ডাকা হয়েছে, কী তার উদ্দেশ্য আপনারা ভালো বোঝেন। আমার ইন্টিগ্রিটি নিয়ে প্রশ্ন করার কোনো সুযোগ নাই।
সোমবার (১ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টা থেকে ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক সেলিনা আখতার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণমাধ্যমকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাকে এখানে ডাকা হয়েছে, আমার সম্পর্কে যা জানতে চেয়েছেন আমি তার জবাব দিয়েছি। আমি সাধারণ জীবন-যাপন করেছি, আমার ইন্টিগ্রিটি নিয়ে প্রশ্ন করার কোনো সুযোগ নাই। আমার জীবনযাপন সম্পর্কে আপনারা জানেন। অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি হ্যাঁ সূচক জবাবও দেন।
আমীর খসরুর বিরুদ্ধে বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার এবং নিজ, স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে শেয়ার ক্রয়সহ জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি পাঠানো তলবি নোটিশে আমীর খসরু মাহমুদ, তার স্ত্রী তাহেরা আলম ও ভায়রা গোলাম সরোয়ারকে ১ মার্চ হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়। যদিও এখন পর্যন্ত তিনি একাই হাজির হয়েছেন।
আগে খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দুই দফায় তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দুদক ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট প্রথম তলব করে। ওই সময় ঈদের ছুটির কারণে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রস্তুতি নিতে না পারার কারণ দেখিয়ে উপস্থিত হতে এক মাস সময় চেয়েছিলেন তিনি।
এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সময় দিয়ে একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় তলব করেন তৎকালীন অনুসন্ধান কর্মকর্তা কাজী শফিক। এর মধ্যে তলবের বিরুদ্ধে ‘আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ’ করে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর করা একটি রিট আবেদন হাইকোর্টে বিচারাধীন উল্লেখ করে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ না নিতে দুদকে আবেদন করেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। পরে হাইকোর্ট এ আবেদনের ওপর শুনানি করে দুদকের তলব বৈধ বলে আদেশ দেয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী তাহেরা আলমকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চিঠি দিয়েছিল সংস্থাটি। ওই চিঠিতে দুদকের তৎকালীন পরিচালক কাজী শফিক বলেন, ‘অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।’
এদিকে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

ট্যাগ :

আরো পড়ুন