Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the wordpress-seo domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/preyopathok/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the advanced-ads domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/preyopathok/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
দিল্লির আম আদমি পার্টির মতো উত্থানের স্বপ্ন দেখছে জামায়াত - PreyoPathok

বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

দিল্লির আম আদমি পার্টির মতো উত্থানের স্বপ্ন দেখছে জামায়াত

শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪

 

 

৪৪ বার পড়া হয়েছে

আশরাফ আহমেদঃ
৫ আগষ্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর জামায়াতে ইসলামী এখন হট সিটে বলা যায়।এটা সবাই জানে ও মানছে অন্তর্বর্তী সরকারের মাঝে জামায়াতে ইসলামীর একচ্ছএ আধিপত্য ও ক্ষমতার প্রভাব।ছাত্র জনতার অভ্যুথানের পেছনে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরাট ভুমিকার কথা শোনা যায়।সরকারের প্রশাসন যন্ত্রে রদবদলে জামায়াতে ইসলামীর পছন্দের প্রার্থীরাই বসছে। বিএনপি এখানে কোনঠাসা।

বাংলাদেশে যদিও ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়ই নির্বাচনের জন্য প্রধান দলগুলোর সাথে জোট গঠন করে। হাসিনা-পরবর্তী যুগে এসব রাজনৈতিক দলে নতুন গতিশীলতার আবির্ভাব আগামী সংসদে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে ইসলামী দলগুলো বিরোধীদল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।সেই জোটে জামায়াত নেতৃত্ব দিতে চায়।

বিগত কয়েকটি সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের ভোট পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তাদের ভোট ও আসন ক্রমাবনতির দিকে। জামায়াত ৫ আগষ্ট অভ্যুত্বথানকে কাজে লাড়াতে চায় আগামী নির্বাচনে।

১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, জামায়াত জনপ্রিয় ভোটের ১২.১৩ শতাংশ পেয়ে, ৩০০ আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে জয়লাভ করে যা দলটির ইতিহাসে সেরা পারফরম্যান্স। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে, তারা ৮.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, তিনটি আসন পেয়েছিল; ২০০১ সালে ৪.২৮ শতাংশ এবং ১৭ আসন এবং ২০০৮ সালে ৪.৭ শতাংশ কিন্তু মাত্র ২ আসন। সময়ের সাথে সাথে, জামায়াতের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায় এবং ২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে, তাদের সংসদীয় আসনগুলি শুধুমাত্র বিএনপির সাথে জোটের মাধ্যমে জয়ী হয়।

জামায়াতের নায়েব-ই-আমির (ভাইস প্রেসিডেন্ট), ডঃ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ দ্য ডিপ্লোম্যাটকে বলেন, ‘আমাদের ভোট কমেছে বলা যাবে না। ১৯৯১ সালে, আমরা ৩০০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম, কিন্তু পরে, আমরা শুধুমাত্র ৩০-৪০টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি।’

আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও আমাদের নির্বাচনী কৌশল নিয়ে আলোচনা করছি, তবে আমরা অনুভব করছি যে জামায়াতের প্রতি জনগণের সহানুভূতি এবং সমর্থন বেড়েছে।’

এই সমর্থনের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তাহের ব্যাখ্যা করেন, ‘জামায়াত এবং শিবির ৫ আগস্ট বিপ্লবে ভূমিকা রেখেছিল; আমরা সকলেই এই পরিবর্তন চেয়েছিলাম এবং এটি আনতে একটি শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছি।’

ইসলামপন্থী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা সম্পর্কে তাহের মন্তব্য করেন, ‘নির্বাচনের দৃশ্যপট এখনও অস্পষ্ট। ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের বিষয়টি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি, তবে আমরা তা চাই। জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে বাংলাদেশের শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য এবং ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য উভয়ই প্রয়োজন।’

জামায়াত সংসদে প্রধান বিরোধী দল হওয়ার লক্ষ্য রাখে কিনা জানতে চাইলে তিনি কৌশলে উত্তর দেন, ‘জামায়াত জনগণের স্বার্থে কথা বলে এবং তাদের দেওয়া ম্যান্ডেট নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট হব। এক মাস আগেও ৫ আগস্ট হাসিনার সম্ভাব্য পতনের কথা কেউ ভাবতে পারেনি। আমরা বিশ্বাস করি আসন্ন নির্বাচনে একই ধরনের অলৌকিক ঘটনা ঘটতে পারে, অনেকটা দিল্লিতে আম আদমি পার্টির উত্থানের মতো।’

ট্যাগ :

আরো পড়ুন