প্রিয় পাঠক ঃমানি লন্ডারিয়েং এর অভিযোগে চার আমদানিকারকের বিরুদ্ধে মামলার প্রুস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম কাষ্টমস।মামলার অনুমতি চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ (এনবিআর) কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।এনবিআরের অনুমতি পেলেই মামলা করা হবে।চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানীর আড়ালে বিদেশে মানি লন্ডারিয়েং এর সম্পৃক্ততা পাওয়াই কাষ্টমসের অ্যান্টি মানি লন্ডরিং ইউনিট এই মামলা করবে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপ ঘোষণায় ২০ কন্টেনারে মূল্যহীন কনক্রিটের তৈরি ব্লক আসার বিষয় উদঘাটন করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা। কুমিল্লার বুড়িচং ময়নামতি বাজারের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সাকুরা স্টিল লিমিটেড স্ক্র্যাপ আমদানির ঘোষণায় রূপালী ব্যাংক লিমিটেড দিলকুশা শাখায় একটি আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলে। ঋণপত্রে পণ্যের মূল্য দেখানো হয় ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৪ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ওই ঋণপত্রের আওতায় ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল দুবাইয়ের জাবেল আলি বন্দর থেকে এমভি স্মাইলি লেডি নামে একটি জাহাজ চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল ঘোষণা দেওয়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সঙ্গে চালানের ২০টি কন্টেনার খালাস করে বেসরকারি কন্টেনার ডিপো সিসিটিসিএলে পাঠায়। আমদানিকারক দীর্ঘদিন ধরে চালানটি খালাস করেননি। এমনকি চালান খালাসের জন্য কাস্টমসে কোনো ডকুমেন্টও দাখিল করেননি। ২৪ নভেম্বর কন্টেনারগুলোর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে দেখা যায়, ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপের পরিবর্তে মূল্যহীন ১১৫ টন কনক্রিট ব্লক নিয়ে এসেছেন আমদানিকারক। কংক্রিটের ব্লক আমদানির মাধ্যমে আমদানিকারক বিদেশে অর্থপাচার করেছেন নাকি রপ্তানিকারকের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন সেটি খতিয়ে দেখছে কাস্টমসের অ্যান্টি মানিলন্ডারিং ইউনিট।সূএ আজাদী
চট্টগ্রাম কাস্টমসের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং ইউনিটের দায়িত্বরত সহকারী কমিশনার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, মানি লন্ডারিং ইউনিটের কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে। চারজন আমদানিকারকের বিরুদ্ধে আমরা অনুসন্ধান চালিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। তাই মামলার অনুমতির জন্য নথিপত্র এনবিআরে পাঠিয়েছি। এছাড়া নতুন করে আরো ২৩টি চালান অনুসন্ধান করছি। সেখানে মানি লন্ডারিংয়ের সংশ্লিষ্টতা পেলে এনবিআরের অনুমতির জন্য নথিপত্র পাঠানো হবে।