প্রিয় পাঠকঃচট্টগ্রাম বন্দরের ৬টি জেনারেল কার্গা বার্থ(জিসিবি) আবারো পুরানোদের দখলে।আগের ৬ প্রতিষ্ঠানই ঘুরে ফিরে আবার নিয়োগ পেতে যাচ্ছে।অভিযোগ রয়েছে, দরপত্র এমন কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে যাতে নতুন কেউ টেন্ডারে অংশ নিতে না পারে।উক্ত ৬ প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে থাকে।তবে বন্দরের কর্মকর্তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করছেন।
সোমবার ৮ ফেব্রুয়ারি ছিল দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। ‘সিঙ্গেল স্টেজ টু এনভেলপ’ পদ্ধতিতে আহূত দরপত্র জমা করার শেষ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর খোলা হয়েছে টেকনিক্যাল অফার। জানা গেছে,৬টি লটে বিদ্যমান সেই ৬ অপারেটর এবং একমাত্র টার্মিনাল অপারেটর সাইফপাওয়ারটেক লিমিটেড ছাড়া আর কোন প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ গ্রহণ করতে পারেনি।এতে ৬ নম্বর বার্থ: এফকিউ খান এন্ড ব্রাদার্স, ফজলীসন্স লিমিটেড, সাইফপাওয়ারটেক লিমিটেড,৯ নম্বর বার্থ: এফকিউ খান এন্ড ব্রাদার্স এবং ফজলীসন্স লিমিটেড,১০ নম্বর বার্থ: বশির আহমেদ এন্ড কোম্পানি লিমিটেড এবং মেসার্স এ এন্ডজে ট্রেডার্স,১১ নম্বর বার্থ: বশির আহমেদ এন্ড কোম্পানি লিমিটেড এবং মেসার্স এ এন্ডজে ট্রেডার্স১২ নম্বর বার্থ: এভারেস্ট পোর্ট সার্ভিসেস, এমএইচ চৌধুরী লিমিটেড এবং সাইফপাওয়ারটেক লিমিটেড১৩ নম্বর বার্থ: এভারেস্ট পোর্ট সার্ভিসেস, এমএইচ চৌধুরী লিমিটেড।
এদের মধ্যে থেকে জিসিবি এলাকায় ৬ কন্টেইনার বার্থে আগামী ৫ বছরের জন্য অপারেটর নিয়োগ দেয়া হবে।
জানা গেছে,এবার দরপত্রের অন্যতম শর্ত হচ্ছে গত ১০ বছরের যে কোন ২ বছরে কমপক্ষে এক লাখ টিইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং-এর অভিজ্ঞতা। যে কোন সমুদ্র বন্দরের কথা দরপত্রে থাকলেও আলোচ্য শর্তটি পূরণের সক্ষমতা কেবলমাত্র চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়োজিতদের রয়েছে। অর্থাৎ বর্তমান ৬ অপারেটর এবং টার্মিনাল অপারেটর সাইফপাওয়ারটেক লিমিটেডই কেবল এই সক্ষমতাসম্পন্ন।
দরপত্রে অংশগ্রহণকারিদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বেশকিছু শর্ত শিথিল করা হয়েছে। অপারেটর কর্তৃক ৩০ ইউনিট ট্রাক্টর ট্রেইলার সরবরাহের শর্ত ছিল। সেটা ২০টি করা হয়েছে। টেন্ডার সিকিউরিটির পরিমাণ ১ কোটি টাকা থেকে ৮০ লাখ টাকা করা হয়েছে। একইভাবে আরও কিছু শর্ত শিথিল করা হয়েছে।