প্রিয় পাঠকঃচট্টগ্রাম বন্দরে এফসিএল কনটেইনারের জট কমাতে ২০ দিনের বেশি ইয়ার্ডে থাকা কনটেইনারের স্টোর রেন্ট চার গুণ বেশি আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
১৫ মার্চ থেকে এটি কার্যকরে বন্দরের ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশনাও দেয়া হয়। সোমবার এ নিয়ম কার্যকর না করতে বন্দরকে চিঠি দেয় বিজিএমইএ।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘এফসিএল কনটেইনারের পণ্য ডেলিভারি সন্তোষজনক হওয়ায় স্টোর রেন্ট চার গুণ বেশি আদায়ের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়নি। আমরা আমদানিকারকদের সতর্ক করতেই নোটিশটা দিয়েছি। এরপর দেখা গেছে পণ্য ডেলিভারি বেড়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের অনুরোধের বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।’
তবে জানা গেছে,কনটেইনার থেকে পণ্য খালাস কমার পরও স্টোর রেন্ট কার্যকর থেকে বন্দরের পিছু হটার কারণ হচ্ছে গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর চিঠি।
জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের পর প্রথম চার দিন বিনা খরচে বন্দরে কনটেইনার রাখার সুবিধা পান ব্যবসায়ীরা। এর পর থেকে ২০ দিন পর্যন্ত কনটেইনার আকারভেদে ২৪ কিংবা ৪৮ ডলারে রাখার সুযোগ থাকে। কিন্তু নামমাত্র মূল্য পরিশোধ করে ব্যবসায়ীরা মাসের পর মাস বন্দরে কনটেইনার ফেলে রাখে। এতে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। তৈরি হয় কনটেইনারের জট।
মূলত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে এ সমস্যা সমাধানের জন্যই ২১তম দিন থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে চার গুণ ভাড়া আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বন্দর।