আশরাফ আহমেদঃদেশে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা করেছে। ১৯ ফেব্রুয়ারী নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে।কে হচ্ছেন বঙ্গভবনের নতুন বাসিন্দা। রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে নানা আলোচনা ও কৌতূহল।
শুরুতে এই পদে অনেকের নাম শোনা গেলেও সময় যত ঘনিয়ে এসেছে ততই ছোট হয়ে এসেছে এই তালিকা। আওয়ামীলীগের ঘনিষ্ট সূএ ও বিভিন্ন সূএ থেকে জানা যায়,সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতির তালিকায় এখন দুটি নাম চুড়ান্ত বিবেচনায় রয়েছে।একজন জাতীয় সংসদের স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।অন্যজন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
যেহেতু আওয়ামীলীগ সংসদে সংখ্যাগরিষ্ট তাই দল যাকে মনোনয়ন দেবে তারই নতুন রাষ্ট্রপতি হওয়া নিশ্চিত।৩৪৩ জন সংসদ সদস্যের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে এবং সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, কাজেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছে।সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব ও নীতিনির্ধারক মহল এই দুজনের একজনকে বেছে নিচ্ছেন তা দলীয় সুএগুলো নিশ্চিত করেছে।
ড. মসিউর রহমানঃ
মসিউর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা। তিনি সাবেক সিএসপি কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ছিলেন।
সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর মসিউর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেন এবং মসিউর রহমানকে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় তাঁর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০১৬ সালের অক্টোবরে আওয়ামী লীগের দলীয় পরিষদের নির্বাচনে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তিনি পুনরায় একই পদে নিয়োগ পান।
শিরিন শারমিন চৌধুরীঃ
আওয়ামী লীগের দলীয় ফোরামে শিরিন শারমিন চৌধুরীর নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি তবে ক্ষমতাসীন দলের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র অনেকটা নিশ্চিত করেছে, স্পিকার হিসেবে ব্যক্তিত্ব, গ্রহণযোগ্যতা ও কর্মক্ষমতা বিবেচনায় শিরিন শারমিন চৌধুরীর নামই জোর আলোচনায় আসছে। পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে।
একাডেমিক পর্যায়ে খ্যাতিমান আইনজীবী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন মন্ত্রিসভায় স্থান দেন তখন তা খুব বেশি বিস্ময় তৈরি করেনি। তবে প্রায় দশ বছর আগে তার স্পিকার হওয়া ছিল চমক জাগানিয়া। এক্ষেত্রে আলোচনায় ছিল তার পারিবারিক ঐতিহ্যের বিষয়টিও। তার পিতা রফিকুল্লাহ চৌধুরী স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ছাত্রলীগ নেতা হিসেবেও রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পারিবারিক ও রাজনৈতিক ঐতিহ্যের পাশাপাশি শিক্ষা জীবনে অত্যন্ত কৃতিত্ব দেখান শিরীন শারমিন চৌধুরী।
মাএ ৪২ বছর বয়সে দেশের সর্বকনিষ্ট স্পীকার হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালনকালে তিনি ছিলেন অনেকটা বিতর্কের বাইরে। বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব বিবেচনায় শিরীন শারমিন চৌধুরীর প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।