প্রিয় পাঠকঃদেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে কভিডের অভিঘাত। কর্মসংস্থান হারিয়েছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। এ নিয়ে বেসরকারিভাবে নানা তথ্য এলেও এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৯ সদস্যের একটি গবেষক দল। বিভিন্ন উপাত্ত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তারা জানিয়েছেন, মহামারীর কারণে দেশে গত বছর কর্মসংস্থান হারিয়েছে ২৬ লাখের বেশি মানুষ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপের পরিসংখ্যানকে ভিত্তি হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সংখ্যা বিবেচনায় দেশের মোট শ্রমশক্তির আকার ৬ কোটি ৪০ লাখ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবেষকরা জানাচ্ছেন, কভিডের কারণে গত বছর বেকার হয়ে পড়েছে এ শ্রমশক্তির ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। সে হিসাবে দেশে গত বছর কর্মচ্যুত হয়েছে ২৬ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ মানুষ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসে শিল্প-কারখানা ও পরিবহন বন্ধ ছিল। অফিস-আদালত বন্ধের পাশাপাশি জনসমাগমেও ছিল নিষেধাজ্ঞা। সার্বিকভাবে অভ্যন্তরীণ শ্রমবাজারে এর বিরূপ প্রভাব দেখা গিয়েছে। কভিডের প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে শিল্প খাতে। এ খাতে কর্মচ্যুতির হার ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এর বিপরীতে সেবা খাতে নিয়োজিতদের মধ্যে বেকার হয়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। তুলনামূলক কম পড়েছে কৃষি খাতে। খাতটিতে কর্মসংস্থান হারিয়েছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলছেন, আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী মোট শ্রমশক্তি থেকে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ কর্মসংস্থান কমেছে। বিবিএস শ্রমশক্তি জরিপ সর্বশেষ হয়েছে ২০১৭ সালে। এর পরের বছরগুলোয় শ্রমশক্তির আকার হিসাব করা হয়েছে প্রবণতা বিশ্লেষণের ভিত্তিতে। এছাড়া গত বছরের সাধারণ ছুটি চলাকালের ঘটনাপঞ্জিকেও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। গত বছরের এপ্রিল ও মে মাসে কর্মজীবী মানুষের হারানো শ্রমঘণ্টা হিসাব করা হয়েছে ওই সময়কালের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে। এ হিসাব থেকে দেখা গেছে, সব খাতে শ্রমঘণ্টা হারানোর চিত্র এক নয়। কৃষি খাতে এর প্রভাব তুলনামূলক কম পড়েছে। কিন্তু কর্মঘণ্টা বেশি হারিয়েছেন শিল্প ও সেবা খাতের কর্মীরা।
Sorry. No data so far.
Sorry. No data so far.