প্রিয় পাঠকঃকরোনা মোকাবিলায় কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি প্রয়োজন মেটাতে খোলা ব্যাংকগুলোর এটিএম। এ ছাড়া বিকাশ-রকেট-নগদের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবা চালু আছে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর অনলাইন ব্যাংকিং সেবাও চালু আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এসব সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে গতকাল বুধবার ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। ফলে, গ্রাহকেরা জরুরি প্রয়োজন মেটাতে এসব সেবা নিতে পারবেন। যদিও গ্রাহকেরা এসব সেবায় খুব বেশি অভ্যস্ত নন।
ব্যাংক হলিডে, সাপ্তাহিক ছুটি ও বিধিনিষেধের কারণে আগামী রোববার পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ থাকছে। আগামী সোমবার থেকে সীমিত আকারে ব্যাংকিং সেবা চালু হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, সরকারঘোষিত এক সপ্তাহের বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকের অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) বুথ থেকে দিনে এক লাখ টাকা তুলতে পারবেন গ্রাহক।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো তাদের এটিএমে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমার ন্যূনতম পরিমাণ হবে এক লাখ টাকা। ২৪ ঘণ্টা লেনদেন সুবিধার লক্ষ্যে অনলাইন ব্যাংকিং লেনদেন সেবাদানকারী ব্যাংকগুলো এই সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সরকারঘোষিত চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপকালে ব্যাংক, পিএসপি, পিএসও এবং এমএফএস জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট প্রোভাইডাররা নিজ নিজ সিস্টেম, ডিস্ট্রিবিউশন ও এজেন্ট চ্যানেল নিরবচ্ছিন্ন ও সচল রাখবে।
গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের জন্য ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার, এটিএম, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট পয়েন্ট ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) এজেন্ট পয়েন্টগুলোয় নগদ অর্থ ও ই-মানি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) সরবরাহের সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে নিশ্চিত করবে।
পাশাপাশি লেনদেনের স্থান অর্থাৎ ব্যাংক, এটিএম, পয়েন্ট অব সেলস ও এজেন্ট পয়েন্টগুলো নিয়মিতভাবে জীবাণুমুক্ত ও সেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থা নেবে। ব্যাংকগুলো তাদের এটিএম চ্যানেল সার্বক্ষণিক সচল রাখা এবং চাহিদা অনুযায়ী, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটিএম মেশিনে ক্যাশ ফিডিংয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।