প্রিয় পাঠকঃগত শনিবার নিজেদের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগাররা গড়েছিল ৩৩৮ রানের পুঁজি। সেই রেকর্ড স্থায়ী হলো না দুই দিনও। আজ সোমবার সেই সিলেটেই আইরিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে প্রথম ম্যাচের রান পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
এক সেঞ্চুরি এবং দুই ফিফটিতে গড়েছে ৩৪৯ রানের পুঁজি।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজও টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা বেশ সাবধানে করলেও, লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্তর দারুণ দুটি ফিফটির পর মুশফিকুর রহিম ঝড় তোলেন সিলেটে। তার ঝোড়ো সেঞ্চুরিতেই ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৪৯ রান তোলে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশকে রেকর্ড স্কোর পাইয়ে দেওয়ার পথে রেকর্ড গড়েছেন মুশফিক নিজেও। একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক এখন তিনি। মাত্র ৬০ বলে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ইনিংসের শেষ বলে গ্রাহাম হিউমের ফুলটাস ঠাণ্ডা মাথায় ওয়াইড ডিপ মিডে ঠেলে দিয়ে ১ রান নিয়ে সেঞ্চুরির উল্লাসে মাতেন তিনি। ২১ মাস পর একদিনের ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক। দিনের হিসেবে ৬৬৭ দিন পর।
মুশফিক ঝড় তোলার আগে বাংলাদেশকে বড় লক্ষ্যের ভিত গড়ে দেন লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ২৩ রান করে রানআউটে বিদায় নেওয়ার পর শতরানের জুটি গড়েন তারা। দুজনেই দেখা পান ফিফটির। দুজনে আউটও হন ৭০-এর ঘরে। সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকা লিটন ফেরেন ৭১ বলে ৭০ রান করে। শান্ত বিদায় নেন ৭৩ রান করে। মাঝে সাকিব আল হাসানের উইকেটও হারায় স্বাগতিকরা। বড় শট খেলতে গিয়ে ১৭ রান করে ফেরেন সাকিব।
এরপর মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয়ের চোখ ধাঁধানো ব্যাটিংয়ে সজোরে এগোতে থাকে বাংলাদেশের রানের চাকা। মাত্র ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন মুশফিক। টানা দুই ফিফটি তুলে নেওয়ার পরও থামেনি তার ব্যাট। আইরিশ বোলারদের নাজেহাল করে ছাড়েন তিনি। এর মাঝে অবশ্য হৃদয় ফেরেন সাজঘরে। তিনিও ছিলেন টানা দুই ফিফটি হাঁকানোর পথে। তবে ৪৯ রান করে আউট হন তিনি।
হৃদয় থামলেও, মুশফিক ছিলেন অপরাজিত। ইনিংস শেষ করেই আসেন তিনি। ইয়াসির আলী রাব্বি ৭ রান করে ফেরার পর তাসকিন আহমেদকে নিয়ে ইনিংস শেষ করে আসেন তিনি। মাঠ ছাড়ার সময় তার নামের পাশে ছিল ১৪ চার আর ২ ছক্কায় ৬০ বলে ১৬৭ স্ট্রাইকরেটে ঠিক ১০০ রান।
আয়ারল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে কমবেশ সবাই পিটুনি খেয়েছেন। তবে সবচেয়ে সফল ছিলেন হিউম। ১০ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই পেসার। অপর দুই উইকেট যায় মার্ক অ্যাডায়ার এবং কার্টিস ক্যাম্ফারের পকেটে।