প্রিয় পাঠকঃঅনলাইন প্ল্যাটফর্ম ই-কর্মাস অল্প দিনেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, এরসঙ্গে প্রতারণার ফাঁদও বেড়েছে। সেই প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির দুটি ব্যাংকে মাত্র ৩ কোটি ১২ লাখ ১৪ হাজার ৩৫৬ টাকা জমা থাকলেও গ্রাহকরা ১,১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে থানায় মামলা করেছে। গ্রাহকদের প্রায় ১ হাজার ৯৭ কোটি টাকা গেল কোথায়?
জানা গেছে, ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটি দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এরমধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকে এখন ২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার ৬১৯ টাকা এবং সিটি ব্যাংকে ২২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩৭ টাকা জমা আছে।
ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটির দুটি হিসাব বিবরণীতে দেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি গণমাধ্যমে শুক্রবার (২০ আগস্ট) তথ্য প্রকাশ করেছে, সিটি ব্যাংকে ই-অরেঞ্জের হিসাবে চলতি বছরের ২০ জুলাইয়ে ৬২০ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার ৭২৯ টাকা জমা পড়ে। এর মধ্যে ৬২০ কোটি ৪৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৯২ টাকা উত্তোলন করা হয়। এখন ২২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩৭ টাকা সিটি ব্যাংক হিসাবে জমা রয়েছে।
অন্যদিকে আরেকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্র্যাক ব্যাংকে খোলা হয়। সেখানে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার টাকা জমা থাকলেও ৩০ জুন পর্যন্ত ৩৯১ কোটি ৬৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৭৯ টাকা জমা পড়ে। এরমধ্যে ৩৮৮ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৫৯ টাকা উত্তোলন করা হয়। এখন ২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার ৬১৯ টাকা জমা রয়েছে।
গুলশান থানায় ই-অরেঞ্জের এক গ্রাহকের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান। আর প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আমান উল্লাহ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Sorry. No data so far.
Sorry. No data so far.