প্রিয় পাঠকঃচট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আ জ ম নাছিরের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের শাখের করাতের অবস্থা এখন তার জন্য শাপে বর হয়ে দেখা দিয়েছে।এবারের নির্বাচন ছিল যতটা রেজাউল করিমের জন্য, তার চেয়ে কোন অংশে কম চ্যালেঞ্জ ছিলনা নাছিরের জন্য।দলের ভেতরে ও বাইরে প্রবল চাপের মুখে ছিলেন নাছির।বেশ দক্ষতা আর কৌশলী ভূমিকা পালন করে চ্যালেঞ্জ এর এই বৈতরনী পার হয়েছেন তিনি।
নির্বাচনী আলোচনায় আসে বিষয়টি যখন নাছিরকে বাদ দিয়ে অনেকটা আড়ালে থাকা নগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিমকে মনোনয়ন দেয়া হয় তখন। নাছির ছিলেন তখন সদ্য সাবেক মেয়র।শুধু মনোনয়নই হারাননি উল্টো তার উপর চেপে বসে রেজাউলকে বিজয়ী করার এক চ্যালেঞ্জ।তখন দলে নেতাকর্মী ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে আলোচনা ছিল, বিষয়টি নাছিরের জন্য শাখের করাতের মতো অবস্থা।রেজাউল জিতলেও বিপদ, হারলেও তার জন্য বিপদ। মেয়র নির্বাচিত হলে দলে রেজাউলের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়বে।তাকে ঘিরে নতুন একটি আওয়ামী বলয় তৈরী হবে।সাথে রয়েছে প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরী পুএ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অলিখিত দলীয় প্রভাব।এতে দলে কোনঠাসা হবেন নাছির। চাপে পড়ে যায় নাছির ও তার অনুসারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তার উপর নগর আওয়ামীলীগে গ্রুপিং, কোন্দল আর অভ্যন্তরীন কারনে বেশ চাপের মুখে ছিলেন নাছির।
নারায়নগঞ্জ,রাজশাহীর মেয়ররা প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেও মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর নাছিরকে পাঁচ বছরে মন্ত্রী পদমর্যাদা দেয়া হয়নি।তার উপর নগর আওয়ামীলীগে গ্রুপিং, কোন্দল আর অভ্যন্তরীন কারনে বেশ চাপের মুখে ছিলেন নাছির।
এমন দ্বৈরথ অবস্থার মাঝে সব প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে নাছির দলীয় প্রার্থী রেজাউল করিমের জন্য কাজ করে গেছেন।শুধু দায়িত্বই নয় রেজাউলকে বিজয়ী করে আনতে সামনে থেকে রেখেছেন প্রত্যক্ষ অগ্রণী ভুমিকা।আর নাছিরের জন্য শাপে বর হয়ে আসে তার সমর্থিত কাউন্সিলরদের বিজয়ের মাধ্যেমে।অনুসন্ধানে জানা গেছে, দলে অভ্যন্তরীন ব্যাপক চাপ আর নানা ম্যাকানিজমের পরেও নাছির সমর্থিত প্রায় ২৭ জন কাউন্সিলর এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হয়। এদের মধ্যে পাঁচ বিদ্রোহী প্রার্থীও রয়েছে।শোনা যাচ্ছে নির্বাচনের শেষ দিকে এসে আওয়ামীলীগের নওফেলের অনুসারী বেশকজন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণায় নাছির গ্রুপের সাথে যোগ দেন।কারণ নিজের জয় সুনিশ্চিত করা।এখন সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর প্রার্থী নাছিরের অনুসারীদের পাল্লাই ভারী হয়ে উঠেছে।
দলীয় রাজনীতি ও সিটি করপোরেশনের কর্মকান্ডে কাউন্সিলদের একটা প্রভাব থাকে।তাই মেয়র পদে মনোনয়ন না পেলেও করপোরেশন ও মহানগরের রাজনীতিতে নাছিরের প্রভাব বহাল থাকছেই বলে তার অনুসারীদের অভিমত।
নগরীর প্রাণ কেন্দ্র বলে পরিচিত একটি ওয়ার্ড থেকে সদ্য কাউন্সিলর নির্বাচিত নাছির অনুসারী এক আওয়ামীলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাজনীতবিদ আ জ ম নাছির।দলে যারা তাকে মাইনাস করার চিন্তাভাবনা করেছে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আ জ ম নাছিরকে বাদ দিয়ে বর্তমানে নগর আওয়ামীলীগ চলতে পারেনা।তিনি নিজ যোগ্যতা দিয়ে তার দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন।এমন বার্তা কেন্দ্রের অনেক নেতাই ইতোমধ্য়ে পেয়েছেন।
Sorry. No data so far.
Sorry. No data so far.