বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

আড়াই কোটি টাকা মূল্যের বিএমডব্লিউ মিলছে ৫৩ লাখ টাকায়

আড়াই কোটি টাকা মূল্যের বিএমডব্লিউ মিলছে ৫৩ লাখ টাকায়

আড়াই কোটি টাকা মূল্যের বিএমডব্লিউ মিলছে ৫৩ লাখ টাকায়

সোমবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২১

 

 

২৮৫ বার পড়া হয়েছে

প্রিয় পাঠকঃবিএমডব্লিউ,ল্যান্ড রোভার,সোগান গাড়ির ব্র্যান্ডে সব বড় বড় নাম।বিশ্ববিখ্যাত এসব গাড়ি ব্যবহার করেন ধনকুবেররা।কিন্তু কোটি কোটি টাকা মূল্যের এসব গাড়ির ক্রেতাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা বাংলাদেশে। অবশেষে একশরও বেশী এ ধরনের গাড়ির একটা হিল্লা হতে চলেছে।একযুগ ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা এসব গাড়ির নিলামে ক্রেতার সন্ধান পেয়েছে কাষ্টমস কতৃপক্ষ।

ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ডের একেকটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রায় চার কোটি টাকা। চার–পাঁচ বছর আগে কোটি টাকার বেশি দরও উঠেছিল। সবচেয়ে দামি এই গাড়ির প্রতি এবার খুব আগ্রহ নেই ক্রেতাদের। এই ব্র্যান্ডের একেকটি গাড়ি দর পড়েছে ১২ লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকা। ল্যান্ড রোভারের চেয়ে কম দামি বিএমডব্লিউ গাড়ির দর উঠেছে সবচেয়ে বেশি। শীর্ষ দর পাওয়া চারটি গাড়িই বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের।

পর্যটন সুবিধায় আনা ১১২টি গাড়ির বিশেষ নিলামে সর্বোচ্চ দরের তালিকা পর্যালোচনা করে এই চিত্র পাওয়া গেছে। ৩ থেকে ৪ নভেম্বর দুই দিনব্যাপী অনলাইনে ও দেশের পাঁচটি নির্ধারিত স্থানে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (১৫ নভেম্বর) এই তালিকা প্রকাশ করে নিলামের আয়োজক চট্টগ্রাম কাস্টমস।

পঞ্চমবারের মতো নিলামে ১১২টি গাড়ি তোলা হয়। এর মধ্যে ১১০টি গাড়ি কেনার জন্য ৫৫১টি দর জমা দিয়েছিল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এটি বিগত চারবারের তুলনায় রেকর্ড। পর্যটনসুবিধায় আনা পুরোনো এসব গাড়ির প্রতি ক্রেতা ও প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ বাড়লেও কিছু গাড়ির দর বেশি ওঠেনি। এ জন্য অবশ্য ১১ বছর ধরে বন্দরে পড়ে থেকে জরাজীর্ণ হয়ে পড়াকে দায়ী করেছে অংশগ্রহণকারীরা।

কাস্টমসের উপকমিশনার মো. আল আমিন বলেন, এবারের নিলামে দরদাতাদের রেকর্ড সাড়া পাওয়া গেছে। যৌক্তিক দর পর্যালোচনা করে নামীদামি ব্র্যান্ডের গাড়িগুলো বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে। যেগুলো বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে না, সেগুলো আবারও নিলামে তোলা হবে।

পর্যটন সুবিধায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এক দশক আগে এসব গাড়ি এনেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পর্যটকেরা।মূলত ওয়ান ইলেভেনের সময় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনার পর আটকে যায় সব কটি গাড়ি। কারণ, শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার রোধে ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে গাড়ি খালাসের শর্ত আরোপ করে কাস্টমস। তখন গাড়ি খালাস না নিয়ে সটকে পড়েন পর্যটকেরা।

এবার নিলামে তোলা ১১২টি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ১৮০ কোটি টাকা। নিলামে সবচেয়ে বেশি ৫৩ লাখ টাকা দর পাওয়া গেছে বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের একটি গাড়ির। চট্টগ্রামের ডবলমুরিং এলাকার ফারজানা ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই দর দিয়েছে। গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। প্রায় তিন হাজার সিসির এই গাড়ি নির্মাণ করা হয়েছিল ২০০৭ সালে। গাড়িটির চাবি নেই। ব্যাটারি ও চাকা নষ্ট হয়ে গেছে। অন্য সবকিছু ভালো আছে।

প্রায় আড়াই হাজার সিসির বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের আরেকটি গাড়ির দর পড়েছে ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৪৬ লাখ ও ৪৩ লাখ টাকা দর পাওয়া গেছে দুটি গাড়ির। তবে দুই দশকের বেশি পুরোনো বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের গাড়ির দর খুব বেশি পড়েনি। মরিচা ধরা ২১ বছরের পুরোনো বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের একটি গাড়ির দর পড়েছে দেড় লাখ টাকা। আরেকটি গাড়ির দর পড়েছে তিন লাখ টাকা। মিতসুবিশি সোগান ব্র্যান্ডের একটি গাড়িতে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন একজন।

প্রতিবার নিলামে ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ডের গাড়ির দর পড়ে বেশি। এবার সর্বোচ্চ উঠেছে মাত্র ১৯ লাখ টাকা।নিলামে কেপিএল কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান ১৬টি গাড়ির সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়েছে। এ ছাড়া ফারজানা ট্রেডিং ১১টি এবং শাহাদাত হোসেন ১১টি করে গাড়ির সর্বোচ্চ দরদাতা হয়।

ট্যাগ :

আরো পড়ুন