প্রিয় পাঠকঃচট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে শিগগিরই ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. শাহজাহান।
রোববার (২৪ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি। সোমবার (২৫ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বন্দর দিবস উপলক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
বন্দরের চেয়ারম্যান বলেন, কর্ণফুলী নদীর বহির্নোঙ্গর থেকে কাপ্তাই ড্যাম পর্যন্ত এলাকায় একটি স্টাডি করা হচ্ছে। লন্ডনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান স্টাডিটি করছে। স্টাডি রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বলতে পারি সহসা আমরা বন্দরের জেটিতে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারবে। বর্তমানে জোয়ারের সময় গড়ে চার ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯.৫ মিটার ড্রাফটের এবং সর্বোচ্চ ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ বন্দরের বিদ্যমান জেটিগুলোতে ভিড়তে পারে।
তিনি বলেন, বছরে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যে নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) নির্মাণ কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে ১ হাজার ২২৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখানে ৬০০ মিটার জেটিতে একসঙ্গে ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৯.৫ মিটার ড্রাফটের তিনটি কনটেইনারবাহী জাহাজ এবং ২২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ডলফিন জেটিতে একটি তেলবাহী জাহাজ ভিড়ানো যাবে। ২০২২ সালের জুলাই মাসে পিসিটিতে কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গত এক দশকে ৫ লাখ ৮০ হাজার বর্গমিটার ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে কনটেইনার ধারণ ক্ষমতা ৫৫ হাজারে উন্নীত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং এলাকায় ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড এবং সদরঘাট এলাকায় একটি ৭৫ মিটার লাইটারেজ জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর আগে নির্মিত ৪০০ মিটার লাইটারেজ জেটি ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে সচল করা হয়েছে, ফলে লাইটার জাহাজগুলো দ্রুততম সময়ে কার্গো খালাস করায় লাইটার জাহাজের ওয়েটিং টাইম কমেছে।