অজয় দাশ গুপ্তঃ
খারাপ খবর, অঘটন মুহূর্তে ভাইরাল হয়। চলতে থাকে ট্রল।সামাজিক মিডিয়া ভেসে যায় কমেন্ট আর বিকৃত উল্লাসে।
আমরা রেডিও যুগের মানুষ। সে সময়কালে জনপ্রিয় একটি গানের কলি ছিল:
রাজা নাই শাহী নাই রাজশাহী নাম
হাতি নাই ঘোড়া নাই আছে শুধু আম।
সেই রাজশাহী ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছে। ৭১ টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রাজশাহী দেশের পরিচ্ছন্নতম নগরীর পর এশিয়ার তকমাও পাচ্ছে এমনটাই জানালো।
রাজশাহী’র এই পরিচ্ছন্ন নগরী হওয়ার খবর টানলো না আমাদের।
খায়রুজ্জামান লিটন চুপচাপ টাইপের মানুষ। তাঁর পিতা শহীদ এইচ এম কামরুজ্জামান ছিলেন কবি প্রকৃতির নেতা। তিনি সরকারী নথিতেও নোট লিখতেন কবিতার ভাষায়।
এখন ভাবা অসম্ভব যে, তিনি তাঁর পুত্রদের পড়তে পাঠিয়েছিলেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে। পিতার মৃত্যু সংবাদ পৌঁছানোর পর মহারাজ তাদের ডেকে সান্তনা জানিয়ে দেশে পাঠিয়েছিলেন। ছোট দু ভাই তখনো জানতো না তাদের পিতা নির্মম ভাবে নিহত হয়েছেন কারাগারের অভ্যন্তরে।
শৈশব ও কৈশোরের শিক্ষা মানুষের বুনিয়াদ। হয়তো সে কারণেই নীরবে কাজ করতে শিখেছেন মেয়র লিটন।
রাজনীতিতে আসতে দেয়ার ব্যাপারে মায়ের আপত্তি থাকার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে লিটন এলেন এবং রাজশাহীর মেয়র হলেন।
ঐ যে বললাম, তিনি মিডিয়ায় নাই। রাস্তা ঘাটে অকারণে ঘুরে বেড়ান না। খোঁড়া গর্তের ভেতর শরীর গলিয়ে ঢুকে মিডিয়ার দৃষ্টি কাড়েন না। নীরবে কাজ করেন। নীরবেই আমের শহর রাজশাহী হয়েছে এশিয়ার পরিচ্ছন্ন নগরী।
বসবাস অযোগ্য ঢাকা নগরী যখন দেশ বিদেশের বাঙালির মুখ ম্লান করে, নেগেটিভ খবর হয় তখন এই খবরটি নিঃসন্দেহে শুভ।
এবার দেশে গেলে রাজশাহী ঘুরে আসব। আপনারাও দেখে আসেন না কেন? তবে হ্যাঁ ওদের নিয়ম মেনে চলতে ভুলবেন না।